দেখেছো কি তুমি আকাশের নীল
দূর দিগন্তে উড়ে যাওয়া ক্ষীপ্র গাংচিল,
শুনেছো কি তুমি পাখিদের কলতান
কাছে টেনে নিয়েছো কি বৃষ্টির জয়গান,
হেঁটেছো কি কভু খোলা মাঠ ধরে
বিকেলের মৃদু হাওয়ায় নদীর তীরে,
নাকি আজও রয়েছে তুমি ওই গৃহে বন্দি
মেনে নিয়ে জীবনের হাজারো সন্ধি।
কখনো কি দাঁড়িয়েছো ওই খোলা বারান্দায়
কফি হাতে কোন এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়,
দেখেছো কি তুমি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
উপভোগে কাটালে কি পুরো জ্যোৎস্না রাত,
তারাদের সাথে কি বললে কোন কথা
ভেঙ্গে দিয়ে মনের শত অদ্ভুদ নীরবতা,
নাকি আজও তোমার মেলে না কোন সময়
যদিও কেঁদে উঠে তোমার ওই অস্থির হৃদয়।
কখনও কি ভিজেছো তুমি বর্ষায় বৃষ্টির জলে
বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতে বন্ধুরা সব মিলে,
শুনেছো কি তুমি একমনে বজ্রপাতের ধ্বনি
দেখেছো কি বিজলীবাতির আলোর শিরোমণি,
দাঁড়িয়েছো কি কারো দ্বারে কদম পুষ্প হাতে
একবুক স্বপ্ন নিয়ে বাদলা দিনের প্রাতেঃ,
নাকি আজও আছে তোমার সর্দি কাশির ভয়
যদিও তোমার বর্ষার জলে ভিজতে ইচ্ছে হয়।
কখনও কি উড়িয়েছো শরতের আকাশে ঘুড়ি
নীল জামা লেপটে গায়ে সেজেছো কি নীলপরী,
নাটাই হাতে রঙ্গিন সুতোয় স্বপ্ন যখন বাঁধা
দেখেছো কি দলবেঁধে মেঘ উড়ছে সাদা সাদা,
কাঁশফুলের শুভ্রতায় যখন মাঠটা পরিপূর্ণ
দেখেছো কি আকাশটা তখন সাজলো নীল বর্ণ,
নাকি আজও তুমি আসো না বিকেল বেলার ছাদে
যদিও রোজ আকাশ দেখতে মনটা তোমার কাঁদে।
কখনও কি নিয়েছো তুমি পাকা ধানের গন্ধ
উপভোগ করেছো কি ধান ভানার ছন্দ,
ডেকেছো কি কভু দূর থেকে রঙ্গিন হেমন্ত
বিচরণ করেছো কি পাখির মত অসীম দিগন্ত,
মেতেছো কি আনন্দ উল্লাসে নবান্ন উৎসবে
ঘুম ভেঙ্গে জেগেছো কি পাখিদের কলরবে,
নাকি আজও ভাঙ্গেনি শহুরে জীবনের গন্ডি
যদিও প্রতিদিন তুমি চলতে চাও হয়ে উড়নচন্ডী।
কখনও কি হেঁটেছো শিশির জমা ঘাসে
কুয়াশার চাদরে যখন ঘেরা চারিপাশে,
চারিদিকে বয়ে বেড়ায় মৃদু ঠান্ডা বাতাস
কুয়াশার মেঘে ঢাকা দূর নীল আকাশ,
বিন্দু বিন্দু শিশির কনা হাওয়ায় যখন ভাসে
দেখেছো কি তখন সূর্যটা মুখ লুকিয়ে হাসে,
নাকি আজও তুমি থাকো শীতের ভয়ে কাবু
যদিও মন ছেড়ে যেতে চায় ঘরের উষ্ণ তাবু।
কখনও কি শুনেছো তুমি বসন্ত কোকিলের গান
মনযোগ আর আগ্রহ নিয়ে পেতে আপন কান,
দেখেছো কি তুমি ফুটে থাকা রঙ্গিন কৃষ্ণচূঁড়া
রক্তবর্ণে সজ্জিত হলো মায়াবতি এই ধরা,
দেখেছো কি শালিক ময়নার শিমুলে ছড়াছড়ি
বৃক্ষরাজির ডালে ডালে অঙ্কুরিত নতুন কুঁড়ি,
নাকি আজও তুমি থাকো ভুলোমনা হয়ে
যদিও তুমি ছক আঁকো বসন্ত বিলাস নিয়ে।
কখনও কি কেটেছে দিন গল্প আড্ডায় গানে
খুশির জোয়ার এসেছে কি তোমার মনে প্রাণে,
স্বপ্ন সারথীর হাজারো স্বপ্ন এসেছে কি জীবনে
সাজিয়েছো কি তুমি জীবনটাকে নব উদ্দীপনে,
কখনো কি নিজ স্বপ্নের সাথে করেছো অভিমান
পাড়ি দিয়েছো কি কভু স্বর্গ সুখের সোপান,
নাকি আজও আছে তোমার দুঃখ ব্যাথার বান
যদিও তোমার ইচ্ছে হয় গাইতে সুখের গান।
কখনও কি আমায় পড়ে তোমার মনে
ভেবেছো কি কভু বসে নিরালায় নির্জনে,
স্বপ্নে কি কভু আমি এসেছি তোমার
ইচ্ছে কি করেছো আমায় খূঁজে পাওয়ার,
হাজারো কল্পনার মাঝে দিয়েছো কি ঠাঁই
পাঠিয়েছো কি উড়োচিঠি অজানা ঠিকানায়,
নাকি আজও আছে সেই চক্ষুলজ্জা ভয়
যদিও হয় মনের ভেতর ভালবাসা উদয়।
.................মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
কফি হাতে কোন এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়,
দেখেছো কি তুমি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
উপভোগে কাটালে কি পুরো জ্যোৎস্না রাত,
তারাদের সাথে কি বললে কোন কথা
ভেঙ্গে দিয়ে মনের শত অদ্ভুদ নীরবতা,
নাকি আজও তোমার মেলে না কোন সময়
যদিও কেঁদে উঠে তোমার ওই অস্থির হৃদয়।
কখনও কি ভিজেছো তুমি বর্ষায় বৃষ্টির জলে
বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতে বন্ধুরা সব মিলে,
শুনেছো কি তুমি একমনে বজ্রপাতের ধ্বনি
দেখেছো কি বিজলীবাতির আলোর শিরোমণি,
দাঁড়িয়েছো কি কারো দ্বারে কদম পুষ্প হাতে
একবুক স্বপ্ন নিয়ে বাদলা দিনের প্রাতেঃ,
নাকি আজও আছে তোমার সর্দি কাশির ভয়
যদিও তোমার বর্ষার জলে ভিজতে ইচ্ছে হয়।
কখনও কি উড়িয়েছো শরতের আকাশে ঘুড়ি
নীল জামা লেপটে গায়ে সেজেছো কি নীলপরী,
নাটাই হাতে রঙ্গিন সুতোয় স্বপ্ন যখন বাঁধা
দেখেছো কি দলবেঁধে মেঘ উড়ছে সাদা সাদা,
কাঁশফুলের শুভ্রতায় যখন মাঠটা পরিপূর্ণ
দেখেছো কি আকাশটা তখন সাজলো নীল বর্ণ,
নাকি আজও তুমি আসো না বিকেল বেলার ছাদে
যদিও রোজ আকাশ দেখতে মনটা তোমার কাঁদে।
কখনও কি নিয়েছো তুমি পাকা ধানের গন্ধ
উপভোগ করেছো কি ধান ভানার ছন্দ,
ডেকেছো কি কভু দূর থেকে রঙ্গিন হেমন্ত
বিচরণ করেছো কি পাখির মত অসীম দিগন্ত,
মেতেছো কি আনন্দ উল্লাসে নবান্ন উৎসবে
ঘুম ভেঙ্গে জেগেছো কি পাখিদের কলরবে,
নাকি আজও ভাঙ্গেনি শহুরে জীবনের গন্ডি
যদিও প্রতিদিন তুমি চলতে চাও হয়ে উড়নচন্ডী।
কখনও কি হেঁটেছো শিশির জমা ঘাসে
কুয়াশার চাদরে যখন ঘেরা চারিপাশে,
চারিদিকে বয়ে বেড়ায় মৃদু ঠান্ডা বাতাস
কুয়াশার মেঘে ঢাকা দূর নীল আকাশ,
বিন্দু বিন্দু শিশির কনা হাওয়ায় যখন ভাসে
দেখেছো কি তখন সূর্যটা মুখ লুকিয়ে হাসে,
নাকি আজও তুমি থাকো শীতের ভয়ে কাবু
যদিও মন ছেড়ে যেতে চায় ঘরের উষ্ণ তাবু।
কখনও কি শুনেছো তুমি বসন্ত কোকিলের গান
মনযোগ আর আগ্রহ নিয়ে পেতে আপন কান,
দেখেছো কি তুমি ফুটে থাকা রঙ্গিন কৃষ্ণচূঁড়া
রক্তবর্ণে সজ্জিত হলো মায়াবতি এই ধরা,
দেখেছো কি শালিক ময়নার শিমুলে ছড়াছড়ি
বৃক্ষরাজির ডালে ডালে অঙ্কুরিত নতুন কুঁড়ি,
নাকি আজও তুমি থাকো ভুলোমনা হয়ে
যদিও তুমি ছক আঁকো বসন্ত বিলাস নিয়ে।
কখনও কি কেটেছে দিন গল্প আড্ডায় গানে
খুশির জোয়ার এসেছে কি তোমার মনে প্রাণে,
স্বপ্ন সারথীর হাজারো স্বপ্ন এসেছে কি জীবনে
সাজিয়েছো কি তুমি জীবনটাকে নব উদ্দীপনে,
কখনো কি নিজ স্বপ্নের সাথে করেছো অভিমান
পাড়ি দিয়েছো কি কভু স্বর্গ সুখের সোপান,
নাকি আজও আছে তোমার দুঃখ ব্যাথার বান
যদিও তোমার ইচ্ছে হয় গাইতে সুখের গান।
কখনও কি আমায় পড়ে তোমার মনে
ভেবেছো কি কভু বসে নিরালায় নির্জনে,
স্বপ্নে কি কভু আমি এসেছি তোমার
ইচ্ছে কি করেছো আমায় খূঁজে পাওয়ার,
হাজারো কল্পনার মাঝে দিয়েছো কি ঠাঁই
পাঠিয়েছো কি উড়োচিঠি অজানা ঠিকানায়,
নাকি আজও আছে সেই চক্ষুলজ্জা ভয়
যদিও হয় মনের ভেতর ভালবাসা উদয়।
.................মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
No comments:
Post a Comment