ঢাকা শহরে সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার ন্যায় টোকাই বাস করে। এদের পরিচয়ই টোকাই, বাবা মায়ের পরিচয়ে এরা পরিচিত নয়।
সামনে ঈদ, তাই সকাল সকাল ছোটকু টোকাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ল। আসল নাম কেউ জানে না, বয়সে ছোট তাই সবাই ছোটকু বলেই ডাকে। মাত্র বার বছর! আজকাল মানুষ গুলো ও কেমন হয়ে গেছে, কোন জিনিসই ফেলতে চায় না। আজ খুব কম জিনিসই কুড়িয়েছে ছোটকু। সামনে ঈদ, ছোট বোন কে একটা জামা কিনে দিতে হবে, নিজের জন্যও একটা নেবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই আজ সারাদিন রাস্তায় কাগজ কুড়িয়েছে। কিন্তু আজ বেশি কিছু পায় নি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে পার্কের এক গাছের নিচে বসে পড়ল। পাশেই এক ভদ্রলোক বসে আছে। পোষাক দেখে অনেক বড়লোকই মনে হল ছোটকুর। এরা আজকাল হাওয়া খেতে পার্কে আসে.. টাকা ফুরোনোর জায়গা নেই এদের, মাঝে মাঝে নাকি হাওয়া খেতে সমুদ্রে ও যায়.. যতসব বড়লোকি কারবার...
ভদ্রোলোক টি উঠে চলে গেল। যাক ওদিকে মন দিয়ে লাভ নেই, আমার কাজ করতে হবে, আপন মনে বলল ছোটকু। হঠাৎ তার নজরে পড়ল বেঞ্চের উপর একটা মানিব্যাগ পড়ে আছে। সে মানিব্যাগ টি খুলে দেখল ভিতরে ওই ভদ্রলোক টির ছবি আর অনেক টাকা, প্রায় বিশ হাজার। এটা দিয়ে ছোটকুর প্রায় অর্ধ জীবনের ঈদ হয়ে যাবে।
ছোটকু কি যেন ভালল, হঠাৎ তার মনে পড়ল, রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে সে একদিন একটা বাংলা ছবি দেখেছিল। ছবিতে নায়ক এমন ভাবে অনেক টাকা কুড়ে পেয়ে মালিক কে দিয়ে দেয়, মালিক তাকে ছেলের মত আদর করে, একটা ভাল চাকরি ও দেয়।
লোক টা এখনও চলে যায় নি। ছোটকু দৌড়ে তাঁর কাছে যায়, মানি ব্যাগটা তাকে ফেরত দিয়ে বলে- স্যার এইডা আফনে ফেলে এসেছিলেন, দেহেন সব ঠিক আছে কিনা।
ছোটকু ভদ্রলোকটির দিকে চেয়ে থাকে একটু স্নেহ আদর ও সততার মূল্য পাওয়ার আশায়।
লোকটি যেন তাঁর হারানো ধন ফিরে পেল। তাড়াতাড়ি মানিব্যাগ টা পকেটে রেখে ছোটকু কে বলল - থ্যাঙ্ক ইউ! এরপর পথ ধরে চলে গেল।
মূর্খ ছোটকু থ্যাঙ্ক ইউ কথাটার মানে বুঝল না, বিষণ্ণ মনে হতবাক হয়ে ভদ্রলোকটির চলে যাওয়ার পথে শুধু চেয়ে রইল...............
__কাইয়ুম আকন্দ__
সামনে ঈদ, তাই সকাল সকাল ছোটকু টোকাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ল। আসল নাম কেউ জানে না, বয়সে ছোট তাই সবাই ছোটকু বলেই ডাকে। মাত্র বার বছর! আজকাল মানুষ গুলো ও কেমন হয়ে গেছে, কোন জিনিসই ফেলতে চায় না। আজ খুব কম জিনিসই কুড়িয়েছে ছোটকু। সামনে ঈদ, ছোট বোন কে একটা জামা কিনে দিতে হবে, নিজের জন্যও একটা নেবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই আজ সারাদিন রাস্তায় কাগজ কুড়িয়েছে। কিন্তু আজ বেশি কিছু পায় নি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে পার্কের এক গাছের নিচে বসে পড়ল। পাশেই এক ভদ্রলোক বসে আছে। পোষাক দেখে অনেক বড়লোকই মনে হল ছোটকুর। এরা আজকাল হাওয়া খেতে পার্কে আসে.. টাকা ফুরোনোর জায়গা নেই এদের, মাঝে মাঝে নাকি হাওয়া খেতে সমুদ্রে ও যায়.. যতসব বড়লোকি কারবার...
ভদ্রোলোক টি উঠে চলে গেল। যাক ওদিকে মন দিয়ে লাভ নেই, আমার কাজ করতে হবে, আপন মনে বলল ছোটকু। হঠাৎ তার নজরে পড়ল বেঞ্চের উপর একটা মানিব্যাগ পড়ে আছে। সে মানিব্যাগ টি খুলে দেখল ভিতরে ওই ভদ্রলোক টির ছবি আর অনেক টাকা, প্রায় বিশ হাজার। এটা দিয়ে ছোটকুর প্রায় অর্ধ জীবনের ঈদ হয়ে যাবে।
ছোটকু কি যেন ভালল, হঠাৎ তার মনে পড়ল, রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে সে একদিন একটা বাংলা ছবি দেখেছিল। ছবিতে নায়ক এমন ভাবে অনেক টাকা কুড়ে পেয়ে মালিক কে দিয়ে দেয়, মালিক তাকে ছেলের মত আদর করে, একটা ভাল চাকরি ও দেয়।
লোক টা এখনও চলে যায় নি। ছোটকু দৌড়ে তাঁর কাছে যায়, মানি ব্যাগটা তাকে ফেরত দিয়ে বলে- স্যার এইডা আফনে ফেলে এসেছিলেন, দেহেন সব ঠিক আছে কিনা।
ছোটকু ভদ্রলোকটির দিকে চেয়ে থাকে একটু স্নেহ আদর ও সততার মূল্য পাওয়ার আশায়।
লোকটি যেন তাঁর হারানো ধন ফিরে পেল। তাড়াতাড়ি মানিব্যাগ টা পকেটে রেখে ছোটকু কে বলল - থ্যাঙ্ক ইউ! এরপর পথ ধরে চলে গেল।
মূর্খ ছোটকু থ্যাঙ্ক ইউ কথাটার মানে বুঝল না, বিষণ্ণ মনে হতবাক হয়ে ভদ্রলোকটির চলে যাওয়ার পথে শুধু চেয়ে রইল...............
__কাইয়ুম আকন্দ__
No comments:
Post a Comment