Thursday, August 28, 2014

মন খারাপ

অস্পর্শ কি একটা অনুভব
করছি!
মনটাও ভালো নেই!
আজ চা ঠান্ডা হয়ে যাক
দুঠোটের স্পর্শই দেব না কাপে,
আজ যে আমার
মন খারাপ!
মনটাকে বড্ড আটকে
রেখেছি!
আজ মুক্ত করে দিব
মন খারাপের রাজ্যে !
বিচরন করুক আজ কারো
অবাধে।
আজ যে আমার মন খারাপ।
ধুয়ায় উড়াবো সব কষ্টকে!
সুখের বাণে বিলীণ দেব মনকে!
চাইলেই দেব আমার
সস্তা মনটাকে!!
বকবক করে যাব নিন্দুক হয়ে,
সুরে-বেসুরে ধরব গানের
মিথ্যে লাইন!
দুবৃত্ত অসহায়ের মত
চাহনি থাকবে আকাশে!
শুনবা না কারো কল্পিত
অহেতুক মানা।
দূত হয়ে বলব না কারো
কানে
ভালবাসি,
বড্ড ভালবাসি!
আজ যে আমার বড্ড মন খারাপ॥


__________'খালিদ আদিত্য'

Tuesday, August 26, 2014

ভালো থাক ভালোবাসা

কাছে দূরে অথবা প্রবাসে
ভালো থাক ভালোবাসা ।
কনুইয়ের কোণ ঘেঁষে,
হৃদয়ের খুব কাছে
ভালো থাক ভালোবাসা ।
কার্জন হল, টি এস সি, মল চত্বরে
বেঁচে থাক ভালোবাসা ।
কনে দেখার আলোয় ক্লান্ত বিকেলে
মিশে থাক ভালোবাসা ।
চুলের খোপায় গাঁথা কাটায়
গেঁথে থাক ভালোবাসা ।
চুড়ির মুঠোয় হাতের মায়ায়
রাঙ্গা হোক ভালোবাসা ।
কপোলের টোলে উষ্ম অধরে
লেগে থাক ভালোবাসা
ভালো থাক ভালোবাসা।



______আঁকন হক

Monday, August 25, 2014

দিনযাপন

এখন আমার একাকীত্বের অনুভুতিগুলো আগের মত তেমন করে আর কষ্ট বাড়ায় না..
আমি এখন একা থাকতে শিখে গেছি...
সেই প্রভাতী আলোয় শুরু থেকে শেষ অবধি- এমনকি অন্ধকার গভীর থেকে গভীরে-নিশি প্রহরের আধারে জেগে থাকা ছায়ার মাঝে সুযোগ সন্ধানী অপেক্ষারত গভীর বেদনারাও আমাকে আর তেমনি করে ছুয়ে দিতে পারে না..
যেমনটা করে ওরা এই বেশ কদিন আগেও আমার বিষাদি ভাবনাজুরে তোর অতীতে ধুসর হত,আমাকে ছুয়ে অস্রু হত..
এখন আর আমার তেমনটা হয় না..
আমি এখন ওদেরকে সহ্য করতে শিখে গেছি...
ওরাও তাই আজ আমাকে বন্ধু বলে মেনে নিয়েছে..
আজও সেই থেকেই শুরু- আমাদের একসাথে পথচলা...
তাই আমার এখন আর একা থাকতে তেমন একটা কষ্ট হয়না,
এখন আমার একা থাকতেই বেশ ভালো লাগে....
আমিতো খুব ভালোই আছি-আমার আবার দু:খ কি ?
আমি এখন আমার অনেকটা সময় ওদের সাথেই পার করি..
আমার মুখাভিনয়ের হাসিমাখা দিনযাপনে ওরা আমাকে বেশ আগলে রাখে,
কাউকে কিছু বুঝতেই দেয়না-এই আমি কেমন আছি -আমার সময়টা কেমন কাটছে..
পেছনের অতীত সীমানাটা বৃষ্টির জলে ভিজে থাকে কিনা..
আর কেউ কিছু না বুঝলেও ওরা এগুলো ঠিক জেনে যায়..
এমন করে আর কেইবা আমায় দেখে রাখে বলো- তাইতো এখন আমি বেশ সুখেই আছি,
আমার আবার দু:খ কিসের ?
এখন আমি বেশ করে ভাবতেও শিখে গেছি..
তাই আমি আমার ইচ্ছে হলেই খুব করে ভাবতে পারি-ভেবে ভেবে আমার একলা মুহুর্তগুলোয় তোর যতিচিহ্নের দুরত্বটাকে মুছে দিতে পারি..
তোর দেয়া তপ্ত ক্ষতটাকে নদীর জোয়ারে ধুয়ে ফেলতে পারি..
কিনবা আলোর অসহ্য কোলাহলী মিছিলগুলোকে ইচ্ছে করলেই নির্জন কালো আধার বানাতে পারি.. আমি ভাবতে পারি.. মন চাইলেই যখন তখন আমি আমাদের অসম্পুর্ন বাস্তবতার কষ্টটাতে সুখচিন্তার পরশ বুলিয়ে সইতে পারি...
তাই আমি এখন খুব ভালোই আছি..
আমার একাকীত্বের প্রহর জাগা হাজার শত ভাবনারাও বেশ সুখেই আছে..
আমার আবার কষ্ট কি ?



___________ পলাতক হৃদয়

Sunday, August 24, 2014

কালো বউ

লাল টুকটুকে জরির শাড়িতে বউ সেজেছি
তবে টুকুর টুকুর শব্দ করে ঘোড়ায় চেপে স্বপ্নের রাজপুত্তুর আসেনি।
বিকশিত হওয়ার আগেই স্বপ্নগুলো উপড়ে গেলো
বিয়ের সানাই বাজতে গিয়ে থেমে গেলো।

পুতুল ঘরের জিনিসগুলো আজও আছে
পুতুল বৌ আর পুতুল জামাই বিয়ের সাজে
আমার লাল শাড়িটাও পড়ে আছে আলনাটাতে
"বর আসবে " শোরগোল টা থেমে গেছে।

বিভীষিকা সত্যি টা আজ আমার সামনে
আদরের মেয়ে ছিলাম আমি সবার কাছে।
কিন্তু সব প্রশ্নের তীরগুলো আজ আমার দিকে।
হয়নি বিয়ে, আসেনি বর আমায় নিতে
আমি অপয়া,আমি অভাগী বিলাপ চলছে।
বলবে মা,কি দোষটা ঠিক আমার আছে?

বাবার ঘরে আলো করে জন্মেছিলাম
বাড়ির সবার চোখের মণিতে জ্বলেছিলাম।
আমার ভিতর পায়নি আলো ওরা খুঁজে
তাইতো আমি অপয়া হয়ে থাকলাম ঘরের কোণে।
বলতে পারো দোষটা আমার কোথায়?
ঐ কাকটাও যে আজ মুখ ফিরিয়ে নেই আমি কালো বলে।।

____________Yagnin Sultana

"তুমি"

তুমি মিলেছিলে তব গোধূলি লগনে, 
দিয়েছিলে প্রেমও বার্তা,

শুনায়েছিলে-- 
মোর প্রানও ভরায়ে 
তোমারও মনের কথা। 

তুমি কতবার বলেছিলে ভালবাসি, 
তবু চাইনি দিতে এ মন। 
কেনো তোমারো চোখের 
চাহনি দিয়া-- 
করিলে মোরে হরন? 

তুমি কতবার চেয়েছিলে 
হাতটি ধরতে, 
করেছিলাম বারণ; 
ফের, সেই হাত ধরিলাম আমি 
তোমারি কারন। 

তুমি এমন কি'গো করিলে আমায়, 
বলো না একবার, 
চাইনি হতে তোমার আমি-- 
কেন মন চায় হতে তোমার?

তুমি একবার শুধু 
একবার বলো, 
চাহিয়া আমার পানে,
তোমারো অমন চাহনি কেন--
আমারও হৃদয় হানে? 

তুমি এমন কী যাদু করিলে আমায় 
ছাড়ে না যে মোরে আর,
কেবলি হইতে চাই যে আমি 
শুধুই তোমার। 

______________Tahnim Afrin Soma

তুই যদি আমার হতে চাইতি,

তুই যদি আমার হতে চাইতি,
তিলে তিলে পূর্ণ করে দিতাম!
শষ্য পরিমাণ নির্যাসে যেত না,
সব ছাড়িয়ে কণায়
কণায় পূর্ণতায় আমার
আমিকে রাখতাম!

ভূজে যাপটে অধরে ছড়িয়ে
দিতাম কামনা
অনুমানেই রাখতাম না
কাকে বলে যাতনা॥

________'খালিদ আদিত্য'

Saturday, August 23, 2014

"দীর্ঘশ্বাস"


আমার অসময়ী ভাবনাগুলোর যেন কোন ক্লান্তি নেই..
তাদের কোন বিশ্রামও নেই-
নেই যেন কোন জাগতিক নিয়মের কাটাতারের বেড়াজাল...
তাই আমার হৃদয়ের প্রকোষ্টে ইদানিং ওদের যেন অবাধ বিচরন..
অবিরত বয়ে চলা সময়ের ইতিহাসে ওরা যেন এক কালজয়ী অস্থিরতা..
প্রয়োজনের হিসেব নিকেশের বৃত্তচক্রে অথবা প্রহর বদলের আলো ছায়ার ভীরেও ওদের যেন আজ আর কোন সপ্ন নেই-নেই কোন সুখ কামনায় মিনতির দুরভিসন্ধি..
তবু প্রতিনয়ত ক্ষয়প্রাপ্ত মুহুর্তের কালক্ষেপনে ওরা যেন একেকটি অবাধ্য জাগ্রত সমাধিস্থল..
গভীর নীরবতা তবু যেন কোথায় একটা গাড় নি:শ্বাসের অনন্ত দীর্ঘশ্বাস...


________পলাতক হৃদয়

তোমার অনুভবে

এই রিমঝিম বৃষ্টি ভেজা রাতে
ইচ্ছে করছে আজ শুধু হারাতে
দুজনে একসাথে জলের স্নিগ্ধতায়,
মন সে তো বসেনা বইয়ের পাতায়
লিখছে কবিতা স্মৃতির খাতায়
আর ভাবছে আনমনে একাকি তোমায়।

পরছে মনে আজ কত না স্মৃতি
ইতিহাসে যা জমা হয়ে অতিথি
ফেলে এসেছি সব অতীতের কোটরে,
লাগছে অযথায় খুব একা
মনের ভেতরটা ভীষণ ফাঁকা
আর অন্ধকারে আচ্ছন্ন বিষণ্নতার চাদরে।
তুমি নেই তাই দেহে নাই প্রাণ
বুকের ভেতরটা বড়ই ম্লান
হারিয়েছে সুখ দূর অজানায়,
দেখে যাই কত না স্বপন
ভালোবাসাতে করে পেতে আপন
রয়েছি শুধু তোমারি অপেক্ষায়।

 ...... মোহাম্মদ কামরুজ্জামান

অভিশাপ!

তুই কাপুরুষ, তুই নুপুংশুক
তুই অবলার বক্ষে দাঁতের আঁচর বসাস।
তুই ক্ষুদার্থ কুকুর, তুই দানব
তুই প্রসুতির দেহে,
তুর দুর্গন্দ্বময় লালা ঝড়াস।
তুই সৃস্টির সেরা ভুল
তুই অভিশাপ
তুই করিস না ভয় সৃস্টিকর্তার।
তুই নারীর নস্ট অধ্যায়
ঘুনে ধরা ইতিহাস
তুই অনাসৃস্টি, তুই ঘৃন্য দৃস্টি সবার।
তুই কাপুরুষ বহুজন্মে
সত্যের মোকাবিলায় তুই ভীরু।
সমাজের অনিয়ম ভাঙতে
কাঁপে তুর বুক দুরুদুরু।
যদি পারিস তবে কেড়ে নে
সমাজের শোষকদের তলোয়ার
লুঠন কর সমাজের অনিয়ম
ভেঙে গুড়িয়ে দে সব অনাচার।
তুই পারিস কি বল ভীরু নর্দমার কীট,
গলাপঁচা দুর্গন্দ্বময় তুর বিবেক।
তুই ক্ষুদার জ্বালা সইতে পারিস না,
মা এর সম্ভ্রমেও বসাস থাবা।
তুই জ্বলন্ত হাবিয়া,তুই আগুনের ফুল্কি
মা এর দেহেও খুঁজিস রসালো উল্কি।
তুই অন্দ্ব, তুই বধীর
তুর পাপে বাতাস ভরে,কাঁপে অম্বর।
তুই পাপী, তুই পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।
পশু নিষ্পাপ, পশু বিবেকহীন বধীর,
তুই পঞ্চইন্দ্রিয় অধীকারী শয়তান।
তুই অচ্যুত, তুই শকুনের চেয়েও নীচ,
তুই জীবন্ত দেহ খুঁড়ে খুঁড়ে খাস,
নিস্পাপ শিশু,বৃদ্বা, কারো রেহাই নেই তোর থেকে,
তুই মস্তিস্ক বিকৃত দানব।
যার দ্বারপ্রান্তে তুই মাথা উঁকি দিয়ে
পৃথিবীর আলো দেখেছিলি এককালে,
তোর লালসায় রক্তাক্ত সেই নির্জীব নারী যোনী।
কত কুৎসিত কদাকার তুই!!
তুর ধংস অনিবার্য!
তুই সৃস্টির সেরা ভুল।
তুর রেহাই নেই, তুর পৌরুষত্বে ধরুক পচন।
পশুর গুহ্যদ্বারে কিলবিল করা কীটে খশে পরুক তুর পুরুষাংগ।
তুই কাপুরুষ,তুই তুর গর্ভজাত মা এর কলংক।
তুই নারীর অভিশাপ।
তুই অভিশপ্ত জীবন্ত লাশ।


___________ডার্ক এভিল।।।।।।

কষ্ট কার নেই!!!

কষ্ট কার নেই!!!
ডানে কষ্ট, বায়ে কষ্ট,
চোখ বুঝলেই কষ্ট, জেগে থাকায় কষ্ট।
কষ্ট আঁধার রাতে,
কষ্ট নীলা আকাসে,পথের ধুলোয় কষ্ট,
কষ্ট উড়ে বাতাসে।
সন্দ্ব্যার গুধুলীতে কষ্ট, কষ্ট প্রাপ্তির শেষে,
অপুর্নতায় কষ্ট, পুর্নতা ও কষ্টে উঠে হেসে।
চা এর কাপে কষ্ট, কষ্ট পথশিশুর বুকের পাঁজরে,
মধ্যবিত্তের দীর্ঘশ্বাসে কষ্ট, কষ্ট গরিবের ঘরে।
ভোরের আলোয় কষ্ট, কষ্ট অস্তমিত সুর্য্যের বিদায়ে,
কষ্ট ঘুরে খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে, অধীকার আদায়ে।
সুখে ও কষ্ট, কষ্টেও কষ্ট...
কষ্ট ভাতের থালায়,
কষ্ট দুপুরের রোদ ঝড়া ঘামে,
কষ্ট বেলা শেষে অবেলায়।
কষ্ট সময়ের, কষ্ট অসময়ের
কষ্ট সাম্যের শ্লোগানে মুখরিত আকাস বাতাসে,
অশ্বথের ছায়ায় কষ্ট, নীরবতায় কষ্ট
বুকের ভিতর কষ্ট পুশা সন্তান হারা মা ও হাসে ।
কষ্ট দুয়ারে, কষ্ট জানালার ফাকে
কষ্ট হতাশায় মৃত্যুর পানে ডাকে।
কষ্ট আমার, কষ্ট তুমার
কষ্ট নগরীর কোনে কোনে,
কষ্টে কষ্টে ছন্দের সুতোয়
কবি তার কাব্য বুনে।
কষ্ট বাঁচায়, কষ্ট মরায়
কষ্ট তৃষনার্থ বুকের ক্ষরায়,
ভালবাসায় কষ্ট, কষ্ট চলে যাওয়ায়
কষ্টে কষ্টে সুখ গুলো হাড়ায়।
নিশ্বাসে কষ্ট, বিশ্বাসে কষ্ট
কষ্ট সম্পর্কের মাঝে।
কষ্ট পাখির গানের সুরে,
কষ্টে কালীতে বীরঙনা সাজে।
কষ্ট চোখের, কষ্ট মনের
কষ্ট গোপন কথার।
কষ্টে কষ্টে বালিয়ারী কাঁদে,
কষ্ট নির্ঘুম রাতের।
কষ্ট কার নেই।।।
কষ্ট তোমার, কষ্ট আমার।
কষ্ট সবার।


________ডার্ক এভিল

Thursday, August 21, 2014

আমি মেঘের ওপারে গড়বো বসত

আমি মেঘের ওপারে গড়বো বসত...।
কাটিয়ে শহস্র বিনিদ্র রজত
আমি মুখ ফিরাবো ওপাড় যেয়ে
আমি অভিমানী,আমি ভিন্ন মেয়ে।
আমি উচ্ছল, আমি তরল
আমি কঠোরতার দন্ডায়মান প্রতিক
আমি খ্যাপা, উগ্র, আমি অশান্ত শ্রোতের ঢেও,
আমি বৃস্টি ছুই, মেঘের আড়ালে লুকাই
আমি আমার ভিতরে ভিন্ন কেউ।
আমি অভিমানে অভিমানে শহস্র বছর পিছাই।
আমি রাগী, অনুরাগী,আমি কোমতায় সিক্ত
আমি মেঘের ওপারে গড়বো বলে বসত
পিছপা হই, ঝেড়ে ফেলি সব,আমি রিক্ত।
আমি আকাস দেখি,বাতাসে উড়াই কষ্ট
জ্বোছনার আলো গায়ে মাখি
তিলে তিলে জমানো ব্যাথায়, মুখের বলিরেখা স্পস্ট।
আমি মেঘের ওপাড়ে গড়বো বসত...
পৃথিবী হতে দুরে, বহুদুরে,
অনুরাগের পাহাড় দেখ আসছে ধেয়ে...
আমি ভিন্ন, আমি অভিমানী মেয়ে!
আমি পথে হাটি, ধুলো মাখি গায়
একলা নদীর পার, সৃতি জড়ায় পায়,
আমি চঞ্চল হরিনী, চলি নিজ মনে
গোপনে কাঁদি,কথা বলি কষ্টের সনে।
আমি উন্মাদ, আমি সহিঞ্জু,
করিনাকো ভয় কারো,
আমি রাতের আঁধার, কষ্টের নীলা
আমি এক আকাস বেদনায়, সুপ্ত পীড়া!!
আমি অভিমানী, আমি গোপন
আমি অভিমানের কাছে সমর্পন।
আমি যাবো চলে দুরে, মেঘের ওপাড়ে,
এখানে আমার চোখের ভিতর কষ্ট নড়ে।
আমি ভোরের শিশির, তপ্ত রোদ,
ফাগুনী হাওয়া কিংবা একলা বিকেল।
আমি পড়ন্ত বেলা, আমি কারো হেলা,
এক বুক অভিমানে , ডুবে যায় বেলা।
আমি মেঘের ওপাড়ে গড়বো বসত,
কাটিয়ে শহস্র বিনিদ্র রজত
আমি মুখ ফিরাবো ওপাড় যেয়ে
আমি অভিমানী,আমি ভিন্ন মেয়ে।


_______ডার্ক এভিল।

Wednesday, August 20, 2014

শ্রাবন সন্ধ্যা (ছোট গল্প)

ঠিক এক বছর আগে এই দিন আমি Du
তে চাঞ্চ
পাইছিলাম..bt আজকে আমার অনেক
কষ্ট
লাগতেছে কারন এক বছর আগে এই দিন
আমার আপু
পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিল
না ফেরার
দেশে.....কিছুক্ ষন পর pc অন
করে আমি আমার আর
আপুর আগে তোলা ছবি, video
গুলো দেখতেছিলাম..দেখ
তে দেখতে হঠাৎ
চোখে পানি এসে পড়ল | আমার
মোবাইলে একটা ফোন আসল,দেখলাম
আমার ফ্রেন্ড
ফোন দিছে.
- তুই কই?আজকে তো আমাদের 1st
ইয়ার
ফাইনাল
xm এর রেজাল্ট দিবে.
- আমি আজকে আসব না দোস্ত..তুই
আমার
রেজাল্ট
জেনে ফোন দিস |
এক বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল..
আমার ইন্টার এর রেজাল্ট দিছে..আমার
Gpa
4.80..physics আর chemistry তে a+
মিস..আমি চিন্তা করতেছি
এই রেজাল্ট
নিয়ে বাসায়া যেতে পারব
না..বাবা মা অনেক কষ্ট পাবে |এক
কাজ
করিঢাকা ছেড়ে অন্য কোথাও
চলে যাই..
হঠাৎ মনে হল আপুকে একবার দেখে যাই
ভার্সিটি তে..আপু বুয়েটে eee
তে পড়ে..যে সময়
ভার্সিটিতে গেলাম দেখলাম যে আপু
ভার্সিটির
গেট থেকে বের
হচ্ছে..আমি তা দেখে তাড়াতাড়ি সেখান
থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলাম |
কিন্তু আপু
আমাকে দেখে ফেলল
- ওইই দাড়া. তুই এখানে কি করিস??
তোর
না আজকে রেজাল্ট দিছে??gpa কত?
- 4.8...
- এত খারাপ হইল কেমনে??
- বুঝতেছি না..আমি আর বুয়েটে xm
দিতে পারব
না আপু ..এই পয়েন্ট নিয়ে বাসায়
কেমনে যাব?
- সমস্যা নাই du তে try করবি..আর
বাসায়
চল
দেখি কি হয়..
- পাগল নাকি?? আব্বু আমাকে মাইরাই
ফেলবে
বলে পালাতে চাইলাম.কিন্তু আপু বলল
- তোকে আমার
সাথে যেতে বলছিনা!!চল..
বলে টানতে টানতে নিয়ে গেল..বাসায়
যাওয়ার
পর আব্বু আমার রেজাল্ট শুনে বেশ
কয়েকটা থাপ্পর মারল আমাকে | আপু
অনেক try
করল আব্বুকে থামাতে bt কোন লাভ
হল
না...আমি থাপ্পর খেয়ে বিছানায়
গিয়ে শুয়ে পড়লাম..কিছুক্ষন পর আপু
আমার
রুমে আসল
- এখন মেয়ে দের মত
না কেদে তাড়াতাড়ি আমার
রুমে আয় জরুরী কথা আছে..
বলে আপু চলে গেল...আমি একটু পর
উঠে জামা কাপড় পাল্টিয়ে আপুর
রুমে গেলাম...যাওয়ার পর
আপুকে বললাম
- আপু আমি du চাঞ্চ পেতে চাই ..তুই
help
করবি???
- না করব না..আমার নিজের
পড়াশুনা আছে না?
- plz আপু help কর ...plz
- আচ্ছা ঠিকাছে..কিন্তু তুই যেদিন du
তে চাঞ্চ
পাবি ওইদিন আমার জন্য একটা নীল
গোলাপ
এনে দিবি..
- নীল গোলাপ
খুজতে গেলে পুরা ঢাকা খুজতে হবে তো..তোর
জন্য
গাদা ফুল আনলে হবে না গাধী??
- হারামী থাপ্পর চিনস?
- আচ্ছা আপু ঠিকাসে..
এর পরের দিন থেকে admission এর
জন্য
ভালমত
পড়ালেখা করতে লাগলাম...কোন
problem হলে আপুর কাছে যেতাম..আপু
সহজে বুঝায়া দিত..অন্যদিকে পাশের
বাসার
আন্টি এসে খালি তার ছেলের সুনাম
করত..আমি প্রায় দেখতাম আব্বু আম্মু
মন
খারাপ
করে বসে থাকত..একদিন
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার
সময় আব্বুর চোখে পানি দেখলাম..এই
ফার্স্ট
আব্বুর চোখে পানি দেখলাম..আমার
প্রচন্ড কষ্ট
লাগতেছিল যে আব্বু আমার জন্য এত
কষ্ট
পাইছে!!
আমি আরও ভাল করে পড়তে লাগলাম..
মাঝে মাঝে প্রায় আপু বলত যে তার
মাথা ব্যাথা করে...আমি বলতাম
তাকে যে ডাক্তার দেখাইতে কিন্তু
ডাক্তার
দেখাইত না ...আমি 3 মাসে বই
মোটামুটি শেষ
করলাম..admissio n xm এর দুইদিন
আগে আমার
ভয়ানক জ্বর উঠল..আমার আপু
সারারাত
আমার
পাশে বসেছিল এবং কিছুক্ষন পর পর
খালি কাদতে কাদতে বলতেছিল "এখন
কেমন
লাগতেছে ভাইয়া তোর??" অথচ পরের
দিধ আপুর
একটা importent
পরীক্ষা ছিল...ভর্তি পরীক্ষার আগের
দিন জ্বর
কিছুটা কমল..কিছুক্ষন পর দেখলাম
আব্বু
আমার
রুমে আসল..
- জ্বর কমছে??
- হুম...
- কালকে তো তোমার
পরীক্ষা..ঘুমায়া পড় গিয়ে
- আচ্ছা...
পরীক্ষার দিন আপুর সাথে DU
তে গেলাম...কিছুক্ষ ন পর
পরীক্ষা হলে ঢুকলাম ...ঢুকার সময় আপু
বলল
- ভাল করে দিস কিন্তু...
- আচ্ছা..
কিছুক্ষন পর পরীক্ষা শুরু
হল..আমি ques
দেখে অবাক .. "এত easy
করছে question!!"
কিন্তু আশেপাশে দেখলাম সবার ques
দেখে মাথায়
হাত...আমি পরীক্ষা দিতে লাগলাম..লাস্ট
1
মিনিটে চারটা ques এর ans
দিতে পারলামনা কারন
খাতা নিয়ে গেল..
আমি মন খারাপ করে বাইরে আসলাম..
আপু বলল
- কেমন দিলি??
- ভাল না ..চারটার ans
দিতে পারিনাই..মনে হয়না চাঞ্চ
পাব...
- আরে পাবি...চল বাসায় যাই..
রেজাল্টের দিন যতই
কাছাকাছি আসতেছে ততই
tension হইতেছে..এদিকে আপুর
মাথা ব্যাথা বেড়ে গেছে..আম্মু আব্বু
তাকে ডাক্তারের
কাছে নিয়ে গেল...আসার পর
শুনলাম আপুকে কয়েকদিন
হাসপাতালে থাকতে হবে.কিন্তু আপুর
কি হইছে কেউ বলে না..আপুর
রুমে গিয়ে আপুকে বললেও আপু কিছু
বললনা...
আজকে result দিবে...আপুর ও আমার
সাথে আজকে যাওয়ার কথা ছিল..কিন্তু
হসপিতালে থাকার
কারনে আমি একা রেজাল্ট
আনতে গেলাম..রেজাল্ট দেখার পর
আমি বিশ্বাস
করতে পারতেছিলাম না যে আমি ক
ইউনিটে দশম
হইছি...আমি তাড়াতাড়ি ভার্সিটি থেকে বের
হয়ে ফুলের দোকান থেকে একটা নীল
গোলাপ
নিয়ে হাসপাতালের
দিকে রওয়ানা হলাম..এমন
সময় আব্বু ফোন দিল..
তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আস..তোমার
আপুর
অবস্হা ভাল না..
মুহূর্তে আমার মুখ
থেকে হাসি চলে গেল...বাসে উঠে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাওয়ার
চেষ্টা করতে লাগলাম..এমন সময় আপুর
number
থেকে ফোন আসল
- তাড়াতাড়ি আয় ভাই..তোর রেজাল্ট
কি?
- (কাদতে কাদতে) এইত আপু
আসতেছি..আমি দশম
হইছি..
- আমার জন্য নীল গোলাপ..
- হুম এইত আপু আনতেছি..
সবার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম
মোবাইলের
অপর পাশ থেকে...
- আপু! আপু!(কাদতে কাদতে)...কিছুক্
ষন পর
হাসপাতালে পৌছালাম ..দেখলাম
যে আব্বু আম্মু
কাদতেছে..আর আপু
চলে গেছে না ফেরার
দেশে..আমি আপুর বেডের
কাছে গিয়ে বললাম
আপু দেখ না আমি DU তে দশম
হইছি..এইযে তোর
জন্য নীল গোলাপ আনছি..উঠ
না..বলে কাদতে লাগলাম...
এখন আমি ছাদে দাড়ায়া আছি.আপুর
চলে যাওয়ার
পর আমি আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল
তারাকে নিজের আপু
মনে করে কথা বলি আর
কাদি..আজকে বলছিলাম,.এমন সময়
ফ্রেন্ড ফোন
দিল
- দোস্ত তুই পুরো ভার্সিটিতে টপ
করছিস
আমি ফোন রেখে আকাশের ঐ তারার
দিকে তাকিয়ে কাদতে কাদতে বললাম
thnx আপু


-________লিখা_Anindo_Chowdhury

দ্বিচারিণীর চিঠি (একটি সেঁকেলে করুণ প্রেম কাহিনী

দিলীপ পাগলা। হালকা পাতলা গড়ন, বয়স ৪৫ কি ৫০ হবে। সেই '৯০ সালের দিকে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তুখোর ছাত্র ছিল। এরপর প্রায় পনের বছর ভবঘুরে হয়ে বেড়াত। গত পাঁচ বছর আগে তাঁর নামে একটা চিঠি আসে। তারপর থেকেই পাগলামি শুরু। চিঠি টা সে যক্ষের ধনের মত আগলে রাখত। কাউকে দেখাত না। একদিন চিঠিটা পাওয়া গেল.........

প্রিয়েষু দিলীপ,
কেমন আছ, যদিও ভাল নেই, তবুও এটাই চিঠি লেখার নিয়ম, তাই লিখলাম। এতদিন ভুলেই ছিলাম। আজ কি এক অজানা কারনে তোমাকে মনে পড়ল, তাই লিখলাম। হয়ত প্রায়শ্চিত্ত! আজ আমাদের মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিইবা বাকি আছে।
মনে পড়ে সেই বিশ বছর আগের কথা? ভরা যৌবন, উন্মাদ, কলেজ ক্যাম্পাস, কৃষ্ণ চত্ত্বর, কফি হাউস।
আমরা ক'জন বান্ধবী মিলে তোমাকে ঠকিয়েছিলাম। নায়িকা ছিলাম আমি। আসলে সেটা প্রতরণা ছিল না, ছিল যৌবন বয়সের এক উন্মাদ খেলা, নারী জাতীর রহস্য!
আসলে আমি বা আমরা কেউই তোমাকে ভালবাসি নি। এমন কি তোমার জন্য আমাদের বুকে কোন মমতা ও ছিল না।
কলেজে তুমি ছিলে সেরা ছাত্র। সব সময় পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে। চেহারা ছিল আকর্ষণীয়, বাবার টাকা ও ছিল প্রচুর। নিজেকে নিয়ে খুব অহংকার করতে, কোন মেয়েকে কখনও পাত্তা দিতে না। এসবের কারনেই তোমার প্রতি হিংসা জন্ম নিল। তোমাকে ভালবাসার ফাঁদে ফেলতে লাগলাম।
চেয়েছিলাম তোমাকে নষ্ট করে দিতে। তুমি যাতে লেখাপড়া শিখতে না পার, যেন ভবঘুরে হও, সবাই তোমাকে ঘৃণা করুক। নারী জাতীর জয় হোক!!
আমি, প্রতিমা, বেলা, গোধূলী, ক্লাসে সবাই তোমাকে আকর্ষণ করতাম। চেয়েছিলাম এদের মাঝে কাউকে তুমি বেছে নাও। ঠাকুর!! শেষ পর্যন্ত আমাকেই বেছে নিলে!
একদিন ধরাও দিলে, উন্মাদ হয়ে আমার কাছে ভালবাসার কথা বললে। উদাস হয়ে থাকতাম, যাতে তুমি আরও এগিয়ে আস।
আমাকে বিশ্বাস করেছ সে জন্য খুব চাপা হাসি হাসতাম। আমাকে বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বলেছিলে: রমা তোমাকে না পেলে আমি মারা যাব। আমার জন্য কেউ মরতে পারে এ কথা ভাবতেই মনে শিহরন জাগে। হায়রে পুরুষ! জীবন কখনও জীবনের সমতুল্য হয় কি!
তারপর কলেজ ক্যাম্পাসে সারাদিন আড্ডা, পড়াশুনো ফেলে চলে আসতে। কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করতে। আমরা কিন্তু ঠিকই লেখাপড়া চালিয়ে যেতাম, বোকা দিলিপ!
তোমাকে কাবু করতে কিন্তু কষ্ট হত না। কৃষ্ণ চত্বরে বসে হাতে হাত, চোখে চোখ, একটু মধুর কথা, ব্যস নেতিয়ে পড়তে। ভগবান যদি নারী কে দেহ শক্তি না দিত তবে নারী আরও অসহায় হত। প্রেম ভালবাসা আসলে সবই এ দেহ। বুঝি না নারী দেহের প্রতি কেন তোমাদের এত দূর্বলতা!
তোমাকে নিয়ে আমরা খুব মজা করতাম, ঠাঁয় রোদে দাঁড়িয়ে রাখতাম, আর ইচ্ছে করেই দেরি করে আসতাম।তারপর বলতাম সরি, ব্যস সব ঠান্ডা। তোমাকে জোকার সাজাতাম., বলতাম আমাকে যদি ভালবাস তবে পুকুর থেকে শাপলা এনে দাও। বোকার মত তুমি তাই করতে। ভীষন ভালো লাগত।
এরপর পাশাপাশি বসা, হাতে হাত, নির্জনে গল্প, আমিই তোমাকে প্রথম চুমু খাওয়া শেখালাম, আবেগে জড়িয়ে ধরতে, বাধা দিতাম না। নির্জন দুপুরে গাছের নিচে বসে যখন প্রেমের কথা বলতে তখন আমার খুব হাসি লাগত, কিন্তু চেপে যেতাম।
অনেক দিন কেটে গেল, দুই দুই বার পরীক্ষায় ফেল করলে। ছোটখাট নেশা ধরলে, দেহের টানে আমার কাছে আসতে লাগলে, তোমাকে নিচ থেকে নিচে নামাতে লাগলাম।লেখাপড়া প্রায় ছেড়েই দিলে।আমাদের কথা তোমার বাড়িতে জানতে পেয়ে তোমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল। ভবঘুরে হয়ে গেলে,মদ ধরলে,ছিনতাই ও করলে টাকার জন্য।
মিথ্যা অভিমান করতাম, পরে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে, ভীষণ ভালো লাগত। আমাদের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে, তুমি নষ্ট হয়েছ।
মাঝে মাঝে মনে হয় এভাবে বেঁচে আছ কেন?মরে গেলেই তো পার।মনে ক্লান্তি এল, তোমাকে অসহ্য বোঝা মনে হল, সরে আসতে লাগলাম। কিন্তু তুমি ছাড়লে না। তোমাকে দেখিয়ে অন্য জনের সাথে প্রেম করতাম, যাতে তুমি আত্মহত্যা করো।
তুমি ভবঘুরে মাতাল হয়েছ, তাতে আমাদের খুশি হবার কথা, তবুও কেন জানি পাপবোধ হয়! কাঁচা বয়স, কিইবা বুঝতাম বলো!
সেই প্রথম যৌবনের কৌতুকের জন্য এক সময় নিজেকে পাপী মনে হত। তোমার জন্য কোন মমতা আমাদের মনে ছিল না, ছিল ঘৃণা! অথচ তোমার পতনের জন্য আমরা প্রত্যেকেই দায়ী। দীর্ঘ দিন তোমার সাথে দেখা নেই। এখন দেখলে হয়ত চিনতেও পারব না। আমারও আগের মত আর রূপ নেই। এখন দেখলে আর আবেগে চেয়ে থাকবে না। বলো, সেই বয়স কি এখনও আছে!
আমাদের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। আমিও বিয়ে করে আজ প্রবাসী। সময় বড়ই নিষ্ঠুর।আজ তুমি কোথায় আর আমি কোথায়। শুধুই স্মৃতি! সে দিনের সেই কৌতুক এখন ঘৃণা, বেদনা! অথচ সেই বয়সে কোন পাপবোধই হত না।
সংসারের নানা ব্যস্ততারর মাঝে এখনও সেই কৃষ্ণচত্ত্বরের কথা মনে পড়ে। সেই কাঁচা বয়স, কলেজ ক্যাম্পাস, আড্ডা ভীষণ মনে পড়ে। আজ হয়ত সেখানে নতুন জুটি বাসা বেঁধেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় কি দরকার ছিল সে দিনের সেই কৌতুকের! সে দিনের সেই কাচা বয়সের একটা কৌতুক এত দুঃখ বয়ে বেড়াবে কে জানত।আমার যৌবনের কলঙ্কের জন্য তুমিই দায়ী! তুমিই!
এই চল্লিশের শেষ অংকে তোমার সাথে দেখা হলে হেসে বলব, চিনতে পারছ কি? মনে রেখেছ এখনও? ভুলে যাও! এখন কি সেই বয়স আর আছে!
আমরা কি পাপ করেছি? কিসের পাপ! পাপ কি এতই সস্তা! কি দরকার তোমাকে ভেবে, জীবন যেভাবে চলছে চলুক না। সুখেই তো আছি। কি দরকার সেই স্মৃতি মনে করে মিছেমিছি কষ্ট পাবার।
এখনও মনে হয় তোমাকে কাছে পেলে আবার ভোলাব,আবার নষ্ট করব,নতুন ছদ্মবেশ নিয়ে, নয়ত গুলি করে মারব! কারণ আমার যৌবনের কলঙ্কের তুমিই একমাত্র সাক্ষী।
ক্ষমা কোনদিনও চাইব না। ইচ্ছে হলে তুমি নিজেই ক্ষমা করো। তোমরা পুরুষরা তো আবার হৃদয়বান!!!
ইতি
রমা.....

দিলীপ পাগলা যে দিন মারা যায়, সেদিন তাঁর শার্টের পকেটে এই চিঠি টা পাওয়া গিয়েছিল।

__কাইয়ুম আকন্দ__

শান্তির খুঁজে

হন্যে হয়ে শান্তির খুঁজে,মহাশুন্যের এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্তে,
ছুটে চলেছি গ্রহ গ্রহান্তরে..
পেড়িয়ে মাঠ, পেড়িয়ে শহর, পেড়িয়ে যাচ্ছি কৃষ্ণ গহব্বর,
অশান্ত দুর্বিবেগে ছুটে চলেছি মাস পেড়িয়ে বছর!
আমি অশান্ত,আমি ক্ষীপ্ত,
আমি মনুষত্বের আমন্ত্রনে উজ্জীবিত।
আমি আবেগময়,আমি দীপ্ত
মানবের মাঝে দেখি মানবতা সুপ্ত।
দেখি পথে, দিশেহারা পথিক,ক্ষুদার্থ শিশুর পাঁজরের হার,
অশ্রুসিক্ত নয়নে,বৃদ্বা বাপ তার,রিক্সার প্যাডেলে বয়সের ভার।
অশান্ত পশু, লালসায় খুঁড়ে, তরনীর বুকের পাঁজর,
ছিন্নভিন্ন করে, সতীত্ব হাজারো, মনুষত্ব মানে হার
লুটেরাজ তরবারি হাতে,দুর্বলের ভাগে বসায় ভাগ,
মিথ্যের বেড়াজালে গরিব ফাঁসে, সবলের কত অনুরাগ!
আমি নারী,আমি প্রসুতি, জায়া, আমি গর্জে উঠা সিংহ,
আমি নই ভীরু, নই অবলা, আমিই একদিন মিটিয়ে দেবো তোদের পদচিহ্ন।
আমি সাম্যবাদী,আমি প্রলয়শিখা,আমার অনির্বান সংগ্রাম সাম্যের পথে,
আমি পদতলিত করি উগ্রবাদী সমাজ, দাসত্ব মুক্তির তরবারী হাতে!
অন্তর্কলহে ডুবছে জাতী, মরছে মানব, বিশ্ববিবেক দেখ নির্বাক,
সভ্যতা হাসে অসভ্যতার লীলায়, অবাক পৃথিবীও আজ হতবাক।
আমি বিরঙনা, আমি সত্যের সাধক, আমি দুরন্ত চঞ্চল চপলা,
আমি শ্বাশত, আমি নির্ভয়, আমি করিনা কর্নোপাত,করিনা সত্যের হেলা!
আমি বাংলার ফসল, আমি বীর বাঙালী, আমি সেইদিন হবো শান্ত,
অনাচারের পতন দেখিবো, নবজাগরনে, বর্বরতা যেদিন হবে ক্ষ্যান্ত।
আমি করিনা ভয়, দেখিনা অনাসৃস্টি, আমি রনক্ষেত্রে ফুটাই ফুল,
আমি বিবেকের কাছে বন্দি,ভাঙি পরাধীনতার শিকল,আমি পরাশক্তির প্রিয় ভুল।
জাগো মানব, জাগাও বিবেক, তুমি নও অসহায় মুষ্টিবদ্ব জাতি,
তুমি পরাশক্তির কাছে,মানো হার
ধিক্কার তুমার বীরত্বের,
তুমার হাতেই সুচনা কলংকময় আঁধার রাতি।


________ডার্ক এভিল

সত্যি আমি ফিরতে চাইনি!

সত্যি আমি ফিরতে চাইনি!
একেবারেই ফিরতে চাইনি।
আমার ব্যাভিচারী হৃদয় আমাকে জোর
করে টেনে এনেছে
এই অন্তিম নরকে!
তুমি আমার হৃদয়কে অভিশাপ দিতেই পারো।
সত্যি আমি ঘুরে তাকাতে চাইনি।
সুনীলের কবিতা গুলো আমায় বললে একবার
ফিরে চেয়ে দেখো।
তুমি সুনীলের কবিতা গুলোকে অভিশাপ দিতেই পারো।
নয়তো অভিশাপ দাও
দেয়ালের ঘড়িকে
আমাকে অযথাই জানান দিলো
সময় হয়েছে অসময়ে ফেরবার।
অভিশাপ দাও
শেষের কবিতার অমিতকে
আমাকে এরাই অকারনে তোমার তীর্থে নিয়ে এসে দাড়
করালো।
এখান তোমার চোখের
দিকে তাকিয়ে আমি শিওরে উঠি।
কতটা বদলে গেছো
তুমি সাত দিনের মাঝে
যেন হাজার বছর পর আমি অল্ড টেস্টামেন্টের যীশুর
বেশে ফিরে এসেছি।
আর তুমি বললে, কে তুমি আগন্তুক?
অভিশাপ তোমায়। । ।
সত্যি করে বলছি আমি ফিরতে চাইনি
আমাকে একান্তে ঘৃনা করো তবু অভিশাপ দিও না।
 

_________নীল উপসংহার

সাগরের দিকে তাকিয়ে

সাগরের দিকে কখনো তাকিয়ে দেখেছ
কেউ??
কিংবা নদীগুলোর দিকে...
সেখানে অজস্র
পানিবিন্দুগুলো কিভাবে মিশে থাকে তা দেখেছ??
বুঝতে পারবে কেউ যে তাদের অসংখ্য
অস্তিত্ব রয়েছে
অবশ্যই না......
মনে হয় না সবাই এক...??
এক বিন্দুর প্রতি অপর বিন্দুর
ভালবাসা কতটুকু হলে
এরকম এক থাকতে পারে জান??
একটু ভাবলেই উত্তরের সন্ধান মিলবে

জোয়ার ভাটার মাধ্যমে দারুণভাবে সময়
কাটায় তারা
কিন্তু সুখের পাখি যে দীর্ঘক্ষণ
আকাশে উড়তে পারেনা
তাই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে যেতে হয়
ভিন্ন কোন পরিবেশে
যেতে চায়না তারা,
চায়না তারা অন্য পরিবেশের স্বাদ
একটা ভয় তাদের আগলে রাখে
যদি এই ত্যাগ চিরস্থায়ী হয়...
যদি তাদের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে ভাঙ্গনের
সুর বাজে...
কিন্তু যেতে তো হবেই
আবেগের বশবর্তী হয়ে
বাস্তবতাকে কে তো স্থির রাখা যায়না
তাই অজস্র ভালবাসা কে সঙ্গী করে
প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে পুঞ্জীভূত করে
যাত্রা করে সেই অপরিচিত পরিবেশের
দিকে, স্থলভাগের দিকে
সেই ভালবাসা, সেই ইচ্ছাশক্তি বহাল
আছে বলেই
বহাল রয়েছে তাদের সম্পর্ক
হুম, তারা ফিরে আসে
তারা ফিরে আসে তাদের
পুরনো ঠিকানায়
অল্প সংখ্যক কিছু বিন্দু হয়তো ছিটকে পড়ে
কিন্তু এই ভাঙ্গন ইচ্ছাকৃত নয়
অতিরিক্ত বাধাত মৃত হয়ে পড়ে থাকে
স্থলভাগের কোন এক প্রান্তে
কি ভালবাসা তাদের তাইনা...??
কি শক্তি সে ভালবাসায় দেখেছ...??
আচ্ছা আমরা মানুষরা কি পারিনা
এমন ভাবে ভালবাসতে সব সম্পর্ককে
পরিবেশ বদলালে কেন আমরা ভুলে যাব
অতীত সম্পর্ককে
নতুন সঙ্গী পেলে কেন ছুড়ে ফেলি অতীত
সঙ্গীর স্মৃতি
কেন বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়
আমরা এবং আমাদের অস্তিত্ব
আমরা কি পারিনা সম্পর্ক
ঠিকিয়ে রাখতে??
পারি,অবশ্যই পারি
কিন্তু এর জন্য দরকার ইচ্ছাশক্তি, দরকর
ভালবাসা
দরকার সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা
হয়তো আমাদের তারই অভাব
তবুও একটাই কামনা,একটাই বাসনা
পৃথিবীর সব সম্পর্ক ঠিকে থাকুক
ঠিকে থাকুক পৃথিবীর
সীমানা থেকে সম্পর্কের উপাদানগুলোর
অস্তিত্ব
বিলুপ্ত হওয়ার আগ মুহূর্তটি পর্যন্ত......
........................... বিনইয়ামিন ইমতিয়াজ

Sunday, August 17, 2014

কখনও কি?


দেখেছো কি তুমি আকাশের নীল
দূর দিগন্তে উড়ে যাওয়া ক্ষীপ্র গাংচিল,
শুনেছো কি তুমি পাখিদের কলতান
কাছে টেনে নিয়েছো কি বৃষ্টির জয়গান,
হেঁটেছো কি কভু খোলা মাঠ ধরে
বিকেলের মৃদু হাওয়ায় নদীর তীরে,
নাকি আজও রয়েছে তুমি ওই গৃহে বন্দি
মেনে নিয়ে জীবনের হাজারো সন্ধি।


কখনো কি দাঁড়িয়েছো ওই খোলা বারান্দায়
কফি হাতে কোন এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়,
দেখেছো কি তুমি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
উপভোগে কাটালে কি পুরো জ্যোৎস্না রাত,
তারাদের সাথে কি বললে কোন কথা
ভেঙ্গে দিয়ে মনের শত অদ্ভুদ নীরবতা,
নাকি আজও তোমার মেলে না কোন সময়
যদিও কেঁদে উঠে তোমার ওই অস্থির হৃদয়।

কখনও কি ভিজেছো তুমি বর্ষায় বৃষ্টির জলে
বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতে বন্ধুরা সব মিলে,
শুনেছো কি তুমি একমনে বজ্রপাতের ধ্বনি
দেখেছো কি বিজলীবাতির আলোর শিরোমণি,
দাঁড়িয়েছো কি কারো দ্বারে কদম পুষ্প হাতে
একবুক স্বপ্ন নিয়ে বাদলা দিনের প্রাতেঃ,
নাকি আজও আছে তোমার সর্দি কাশির ভয়
যদিও তোমার বর্ষার জলে ভিজতে ইচ্ছে হয়।

কখনও কি উড়িয়েছো শরতের আকাশে ঘুড়ি
নীল জামা লেপটে গায়ে সেজেছো কি নীলপরী,
নাটাই হাতে রঙ্গিন সুতোয় স্বপ্ন যখন বাঁধা
দেখেছো কি দলবেঁধে মেঘ উড়ছে সাদা সাদা,
কাঁশফুলের শুভ্রতায় যখন মাঠটা পরিপূর্ণ
দেখেছো কি আকাশটা তখন সাজলো নীল বর্ণ,
নাকি আজও তুমি আসো না বিকেল বেলার ছাদে
যদিও রোজ আকাশ দেখতে মনটা তোমার কাঁদে।

কখনও কি নিয়েছো তুমি পাকা ধানের গন্ধ
উপভোগ করেছো কি ধান ভানার ছন্দ,
ডেকেছো কি কভু দূর থেকে রঙ্গিন হেমন্ত
বিচরণ করেছো কি পাখির মত অসীম দিগন্ত,
মেতেছো কি আনন্দ উল্লাসে নবান্ন উৎসবে
ঘুম ভেঙ্গে জেগেছো কি পাখিদের কলরবে,
নাকি আজও ভাঙ্গেনি শহুরে জীবনের গন্ডি
যদিও প্রতিদিন তুমি চলতে চাও হয়ে উড়নচন্ডী।

কখনও কি হেঁটেছো শিশির জমা ঘাসে
কুয়াশার চাদরে যখন ঘেরা চারিপাশে,
চারিদিকে বয়ে বেড়ায় মৃদু ঠান্ডা বাতাস
কুয়াশার মেঘে ঢাকা দূর নীল আকাশ,
বিন্দু বিন্দু শিশির কনা হাওয়ায় যখন ভাসে
দেখেছো কি তখন সূর্যটা মুখ লুকিয়ে হাসে,
নাকি আজও তুমি থাকো শীতের ভয়ে কাবু
যদিও মন ছেড়ে যেতে চায় ঘরের উষ্ণ তাবু।

কখনও কি শুনেছো তুমি বসন্ত কোকিলের গান
মনযোগ আর আগ্রহ নিয়ে পেতে আপন কান,
দেখেছো কি তুমি ফুটে থাকা রঙ্গিন কৃষ্ণচূঁড়া
রক্তবর্ণে সজ্জিত হলো মায়াবতি এই ধরা,
দেখেছো কি শালিক ময়নার শিমুলে ছড়াছড়ি
বৃক্ষরাজির ডালে ডালে অঙ্কুরিত নতুন কুঁড়ি,
নাকি আজও তুমি থাকো ভুলোমনা হয়ে
যদিও তুমি ছক আঁকো বসন্ত বিলাস নিয়ে।

কখনও কি কেটেছে দিন গল্প আড্ডায় গানে
খুশির জোয়ার এসেছে কি তোমার মনে প্রাণে,
স্বপ্ন সারথীর হাজারো স্বপ্ন এসেছে কি জীবনে
সাজিয়েছো কি তুমি জীবনটাকে নব উদ্দীপনে,
কখনো কি নিজ স্বপ্নের সাথে করেছো অভিমান
পাড়ি দিয়েছো কি কভু স্বর্গ সুখের সোপান,
নাকি আজও আছে তোমার দুঃখ ব্যাথার বান
যদিও তোমার ইচ্ছে হয় গাইতে সুখের গান।

কখনও কি আমায় পড়ে তোমার মনে
ভেবেছো কি কভু বসে নিরালায় নির্জনে,
স্বপ্নে কি কভু আমি এসেছি তোমার
ইচ্ছে কি করেছো আমায় খূঁজে পাওয়ার,
হাজারো কল্পনার মাঝে দিয়েছো কি ঠাঁই
পাঠিয়েছো কি উড়োচিঠি অজানা ঠিকানায়,
নাকি আজও আছে সেই চক্ষুলজ্জা ভয়
যদিও হয় মনের ভেতর ভালবাসা উদয়।


.................মোহাম্মদ কামরুজ্জামান 

কথা দিলাম

কথা দিলাম আজ আমি
কখনও তোকে ছেড়ে যাবো না
পর হবো না তো কভু
ভুলে যাবো না স্বার্থপরের মত
হারিয়ে যাবো না তোর চোখের সামনে থেকে।
থাকবো তোর পাশে ছায়ার মত
মিশে থাকবো নিশ্বাসে ও বিশ্বাসে
পথ চলবো তোর পথ ধরে
স্বপ্ন দেখবো শুধু তোকে নিয়ে
আর ভালোবেসে যাবো সারাজীবন। তুইও আমাকে আমারি মত করে ভালোবাসিস মনে প্রাণে
ভুল বুঝে হারিয়ে যাসনা কখনও চলে যাসনা রাগে আর অভিমানে। তুই চলে গেলে আমার কি হবে আমার যে আর কিছু নেই তুই ছাড়া, তুই আমার স্বপ্নের পৃথিবী ভালোবাসায় সাজানো বাগান
রং তুলিতে আঁকা রঙ্গিন ছবি।
কথা দিচ্ছি তোকে কষ্ট দিবো না চোখে জল আসতে দিবো না কোনদিন
সব সময় হাসি খুশিতে মাতিয়ে রাখবো
সাজিয়ে রাখবো ফুলের মত
অতি মমতায় এই মনের ফুলদানিতে একটুও কষ্টের আঁচর লাগতে দিবো না।
কথা দিচ্ছি আমি
তোকে অনেক অনেক সুখে রাখবো আমার এই গরীবের রাজ্যে।
তুই রাজি আছিস তো লক্ষীটি,
আসবি তো এই ছন্নছাড়ার জীবনে করবি তো গতিশীল পৃথিবীর মত এই অদ্ভুদ জীবনটাকে চলমান থাকবি তো আমার আশেপাশে
সুখে দুঃখে ছায়ার মত
হবি তো আমার জীবন মরণের সাথী পথ চলার একমাত্র দিকনির্দেশক? আজ কথা দিলাম
সুখের রাজ্যে বাস করবো তোকে নিয়ে
হবেনা তোর অমর্যাদা কোনদিন থাকবি রানীর বেশে পুরো জগতে। বিনময়ে খুব বেশি কিছু চাইনা
তোর কাছে হে প্রিয়তমা,
শুধু একটু ভালবাসা চাই
যে ভালবাসা রাঙ্গিয়ে দিবে
আমার অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনটাকে
সাজিয়ে দিবে ফুলের মত আমার পৃথিবীকে।
কি আসবি তো আমার জীবনে
হবি তো সারাজীবনের চলার
সাথী??


________Kamrruzzaman Sohel

অসময

এখানেই কালো মৃত্যুরা হানা দেয় বারবার...
এই যে এখানেই,
একদম ঠিক বুকের বা,পাশ ঘেসে সোজা অতীত বরাবর...
দিনশেষে আধারের বেশে ওরা প্রায়ই নীরব ছায়ার ভীড়ে এখানে চলে আসে,
ওরা বেরিয়ে আসে-ঘনকালো আধারের আড়ালে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা কোন এক অদেখা অচেনা ভুবন ছেড়ে...
চুপ করে সভয়ে নির্জনে ওরা হানা দেয়-স্তম্ভিত ভাবনার জেগে থাকা শহরে..
হৃদয়ের হাজারও সংকীর্ন গলিপথ বেয়ে ওরা ছুটে যায় বিষাক্ত নি:শ্বাস নিয়ে..
প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে প্রত্যুষের দীর্ঘকালব্যাপী-প্রহরে প্রহরে,
দু:স্বপ্নের প্রায়শ্চিত্ত বিষাদের মত- বিস্মৃতির অন্ধকার পারে,
ওরা ছটফট করে সারারাত...
বিনিদ্র গভীর ভাবনায়,
অস্পষ্ট সংগোপনে-ওরা জেগেই থাকে,
সহস্র অব্যাক্ত হতাশায়...



________পলাতক হৃদয়

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!

বীভৎস কোন দু:স্বপ্নে যখন,
দ্বি-প্রহরে তোমার তন্দ্রাচ্ছন্ন আঁখি খুলে,
উষন পরশে তোমায় জড়িয়ে ধরে বলি..
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।
আলসে ভোরের প্রথম আলোয় ,
ঘুম ঘুম ওই মায়াবী অবয়বে,
রবির কিরন যখন ঠিকরে পরে,
আলতো তোমার গাল ছুঁয়ে বলি..
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
শত ব্যাস্ততায় কাজের ফাকে,
কিংবা কোন ঘর্মাক্ত দুপুরে,
শীতল তোমার লবনাক্ত ঘারে,
একটু খানি নাক টি ছুঁয়ে বলি,
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
গুধুলী লগ্নে দক্ষিনা বারান্দায়,
হাওয়ায় যখন তোমার চুল উড়ে,
ঠান্ডা চা এর কাপে ঠোটটি রেখে,
এলো চুলে হাতটি গুঁজে বলি..
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
কোন এক নি:স্বংগ রাতে যখন,
তোমার পৃথিবী জুড়ে আঁধার নামে,
মমতায় তোমার অধরে চুম্বনের পরশ মেখে,
তোমার একলা রাতের গল্প হয়ে বলি....
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
সৃতিরা যখন রাখে তোমায় ঘিরে,
অস্রুসজল দুনয়নে বর্ষা নামে,
তোমার নয়ন জলে এক রাত ভেঁশে গিয়ে বলি...
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
মধ্যরাতে যখন তোমার মনের ঘরে,
লুকানো সব আবেগ উপঁচে পরে,
মুখোমুখী দুটি প্রান সচল করে,
চোখের ভাশায় যখন বিশ্বমন্ডল নড়ে,
সজোরে তোমার বাহু চেঁপে বলি,
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
যখন প্রবল ঝড়ে তোমার বসত নড়ে,
যখন বর্বরতায় তোমার শাড়ীর আঁচল উড়ে,
যখন নিরর্থক লাগে বেঁচে থাকা,
আশ্বস্ততার চাদরে তোমায় জড়িয়ে বলি..
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
ইন্দধনু যখন আঁধার সরিয়ে,
আলো ছড়ায় জমিনের টানে,
যখন যামিনীর কোলে মুখ লুকায় হিমাংশু,
পাশের বনে ঝুপ করে সন্ধ্বা নামে,
ইন্দু, রবি, বায়ু, বিহঙ সাক্ষী রেখে বলি..
-----ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!!




--------------- ডার্ক এভিল!

বলা হলো না

গোপন কথাটি,
বলি বলি করে আজ ৭ টি বছর গেলো
বেলার কোলে দেখি অবেলার হামাগুড়ি
ছোট চাড়া গাছটিতে মুকুল আর জামরুল এর সমারোহ,
শ্যেওলা পিচ্ছিল কলপাড়ে অদৃশ্য ছত্রাকের বসতি,
বসন্ত এলো, বসন্ত গেলো,
কেবল সদ্য মাজা চকচকে রুপোর থালায় ,
এক ফালি চাঁদ আর মুঠো রাশি জ্বোছনা নিয়ে
সময় এলোনা ঘুরে আমার দুয়ারে,
আমার গোপন কথাটি আজো হলোনা বলা!
চন্দ্রা এলো ১১ বছর পর ফিরে বাপের ভিটায়,
মরন কাকুর মাঠ ভরে গেল সোনালী ধাঁনে,
বছর বছর ঋতু এলো ঘুরে ফিরে
অবশেষে শুভদা জানালো যা ছিল তার গোপন মনের গহিনে,
কেবল আমার সময় এলোনা ফিরে,
এলোনা আমার ঘরের চৌকাঠ মাড়িয়ে
কোন এক বর্ষার রাতে,
কিংবা বুকের ছাতি ফাঁটা রোদ্দুর দুপুরে,
গোপন অভিসারে, তৃষনায় ফাঁটা খরখরে ঠোটের কাছে,
কান পেতে আমার গোপন কথার শুনার অভিলাষে।
আমার একটি গোপন কথা,
সময়ের দাবী হয়ে অসময়ের অবহেলিত বাক্সে,
স্যাতস্যাতে মৃত্তিকার আমিষভেজা গন্দ্বে,
আজ বহুবছর গুমড়ে কাঁদে নীরবে নিভৃতে!
সেবার পুঁজোর মন্ডপে, শ্রাবনের মেঘলা দুপুরে,
গোপন কথাটি বলতে গিয়ে
রবিশংকর বেজে উঠেছিল বুকের অতলে।
মেঘে মেঘে সোনা রং, শালিকের ঝাঁক পাখা ঝাপটিয়ে,
আকাসের বুক ফুঁড়ে সাত রংগা রংধনু,
কৃষনচুড়ার শাখায় লালে লালে রক্তভুমি,
হঠাৎ যে কি হলো!
কি এক অস্পৃশ্য দানব টুটি চেপে ধরলো!
গোপন কথা গোপনেই রয়ে গেলো।
আজো বলা হলোনা!
বুকে নিয়ে হাজারো অশ্রুকনা,
ছুটে চলেছে আমার গোপন কথা,
মহাশুন্যের এপার হতে ওপারে,
শত শত মাইল পেড়িয়ে, পেড়িয়ে যাচ্ছে অসীম কৃষ্ণগহ্বর!
জ্বোৎস্নার বুকে মৃত অন্দ্বকার ডেকে,
সময় বয়ে যায় অভিলাষের উর্ধে,
গোপন কথাটি হয় না বলা,
গোপনেই রয়ে যায় !!!


________ডার্ক এভিল

অভিমান নয়

আর অভিমান নয় ,
একবার চোখ খোল ,
হাতে হাত রাখ . . . .বল ভালবাসি . . .!
একবার বুকে টেনে নে . . .
ঠোট দুটো কানে দিয়ে বল - আমি তোর পাশে আছি ।
আর মৌনতা ধয় একটা কিছু বল , নয়তো বকা দে ,
তোর মৌনতা দেখলে পুরো দিনটা হয়ে যায় মিথ্যে ।
আর মুখ ফিরিয়ে রাখিস না ,
একবার চোখে চোখ রাখ ,
দে একটা মিষ্টি হাসি ,
একবার কাছে টেনে নে ,
ঠোটদুটো কানে দিয়ে বল ,
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি !

লিখা: ছায়া পথ

সময়ের অভিলাষ

বড়ো অবেলায় তুমি এলে
চেয়ে ছিলাম আরো কিছু আগে।
জীবন নৌকা যে আজ পালহীন হয়ে আছে
তোমার প্রতীক্ষায় থেকে থেকে.........
ভেবেছিলাম জ্বোনাকীর আলোয়,
বাজুবন্ধনে জড়াবো আবেশে,
ভেবেছিলাম ইন্দুকিরনে রাতি যখন আলোকিত,
বেহুলার মত তোমার নৃত্যে মেতে রবো কিছুক্ষন,
দংশিত হবো তোমার মধুর বিষে।
চেয়েছিলাম আরো কিছু আগে তোমায়
চেয়েছিলেম, সোনালী স্বপ্নের ডানায় উড়ে যাবো এক আকাশে,
মনের মাধুরীতে আলতা পায়ে চুম্বন এঁকে দেবো তোমার হৃদয়ের প্রতিটি কোনে,
শুঁষে নেবো তোমার গহীনে লুকানো মানিক রত্ন যত,
যদি অবেলায় না হয়ে হতো কিছুটা সময় আগে..
তবে কেন এলে এবেলায়, অবেলা হয়ে সময় কে পিছনে ফেলে,
আজ যে আমি গন্তব্যহীন পাখির মত ছুটছি লোকন্তরপ্রাপ্তির পথে।



লিখা: প্রান্তিক চৌধুরী

কষ্ট !

কষ্টের সীমানা কতদুর ?
এর শুরু কোথায়? শেষ কোথায় ?
কারো কষ্ট মুহুর্ত মাত্র,
কারো কষ্ট অষ্টপ্রহর।
কারো কষ্ট সপ্তাহ, মাস বা বছর,
কখনো বা যুগ !
কারো কষ্ট জীবনের অন্তিম শয়নেই সমাপ্তি টানে।
কারো কষ্ট শুকতারার মত হঠাত খসে পরে।
কারো কষ্ট ইন্দুরবির মত পালাক্রমে আসে।
কারো কষ্ট তমঃবিষাদে নক্ষত্রের মত জ্বলে।
কারো কষ্টে কষ্টেই গাঁথা সুখের মালা।
কষ্টের সীমানা কতদুর ?
কারো কষ্ট এলোমেলো, কারো কষ্ট একা।
কারো কষ্ট নিরবে কাঁদে, যায়না তারে দেখা !
কারো কষ্ট দিন দুপুরে, কারো কষ্ট রাতে,
কারো কষ্ট লালে লালে নীল,দাগ কেটে রয় সুপ্রভাতে।
কারো কষ্ট নস্ট বলে, নস্টেই কাব্যের কষ্ট ,
নস্টে নস্টে এক জীবন হারে, কষ্টের গল্পটি স্পস্ট।
কষ্ট আমার চোখের কোনে, বুকে কষ্টের মরুভুমি,
কষ্ট আমার একলা রাতের, কষ্ট আমার তুমি।
কষ্টের সুতোয় কাব্য গাঁথি ,কষ্টেই আমি বাঁধা ,
অশ্রু দামে কষ্ট কিনি, কষ্টেই সুখ গাঁথা ।
কষ্ট আমার একটা আকাশ, বরফ গলা নদী,
কষ্ট আমার একটা অতীত, ছুঁয়ে দেখতে যদি।
কষ্ট আমার ঘরের চোকাঠে, শীতল পায়ে হাটে,
কষ্ট নড়ে চোখের ভিতর, কষ্টের কোলে বছর কাটে।
কষ্ট আমার দুপুর বেলা, কষ্ট একলা রাতি,
কষ্ট বুকের ভাসমান পাঁজর,কষ্ট পথের সাথী।
কষ্ট তোমার বিমুখ হওয়া, কষ্ট জলরাশি,
কষ্টের সাথে সন্দ্বি আমার, কষ্টে কষ্টে হাসি।
কষ্ট খুঁজি সকাল সন্দ্ব্যা, কষ্টেই যত ভয়,
কষ্ট আমার গোপন রাতের, সন্দ্ব্যাতারা সাক্ষী রয়।


-------------------------- ডার্ক এভিল।

তোমাকে ভুলে থাকতেই


তোমাকে ভুলে থাকতেই হয়ত
জোত্‍সনা রাত তোমায় ভেবে কাটিয়েছিলাম,
নির্জন রাতের আঁকাবাঁকা শুভ্র মাটির পথে
খুব একাকি হেটে শেষমারের মত
স্মৃতির পাতা থেকে তোমায় বিদায় দিয়েছিলাম বহুবার!
তোমাকে আর ভোলা হয়নি!
তোমাকে ভুলে থাকতেই হয়ত
কলঙ্কিত অধ্যায় গুলোর উত্‍স
মায়াবী নদীর ধার ঘেসে
আর বসা হয়না!
চামেলী ফুল ছেড়ে সস্তায় বকুলের দুটো মালায় মন গেঁথে ছিলাম!
বৃষ্টি ভুলে ঘরের কোনে বসে বসে
ঘুন ধরিয়েছি হৃদ প্রকোষ্ঠে!
কাগজ কলম নিয়ে বুনতে চেয়েছিলাম অবাধ্য কিছু কবিতা,
মিথ্যের সুরে জীবনের অপ্রিয় কিছু কথা!
তোমাকে ভুলে থাকতেই
নিকোটিনের ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় অশুদ্ধ হবো চেয়েছিলাম!
তোমাকে ভুলতে ভুলতে
নিজেকে আজ পুরোটাই ভুলেছি!
জীবনটাকে ভুলে,জমে থাকা কষ্টের স্তুপ সরাতে মগ্ন রেখেছি নিজেকে!
জীবন সুখের নাও ছেড়ে
বাকি জীবন উল্টো পথের হাল ধরেছি!
অথচ তোমাকে আর ভোলা হয়নি!
অবশেষে তোমাকে ভুলতে বুকের মাঝে একটি অসত্য কে খুব যতনে এতকাল ধরে লালন করছি,"কোন একদিন তুমি আমার হয়ে আসবে!"
মায়াবতী,আমার হয়ে ফিরেই বলবে
'এখনো তোমায় ভালবাসি এতটাকাল ধরে !'


________'খালিদ আদিত্য'

সম্পর্কের নাম

তোমার আমার সম্পর্কের একটা নাম দেয়া দরকার,
তবে কি নাম দিবো ঠিক বুঝতে পারছিনা.
তোমায় ভালবাসি অনেক......
তবে প্রেমিকার রূপে নয়.
কারন ঐসম্পর্কে কিছু প্রতিশ্রুতি ও চাওয়া পাওয়ার ব্যপার থাকে,
তোমার আমার মাঝে তো তা নেই.
তাহলে এটা প্রেম নয়.
তবে কি বন্ধুত্ব!!
তোমার জন্য আমার মনটা উদাসী হয়ে যায়.
তোমাকে একটি বার দেখার জন্য,
তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য,
বন্ধুত্বের মাঝেতো এমন কিছু হওয়ার কথা না.
তাহলে এটা শুধু বন্ধুত্ব ও না.
তার চেয়েও বেশি কিছু.
দুজন দু প্রান্তে তবুও অনেক কাছের মনে হয়.
এখনও একে অপরকে সরাসরি দেখালামই না, তবুও কত চেনা মনে হয়.
কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যার কোনো নাম হয়না, কিন্তু এর গভীরতা অনেক.
হয়তো এমন কিছুই তোমার আমার মাঝে.



লিখা: প্রান্তিক চৌধুরী

ইকো !

আমি বনহরিনী, বাকহীন অপ্সরী,প্রেমের শুন্য পেয়ালা হাতে তোমার দুয়ারে দাড়িয়ে! নার্সিসাস, ফিরে দেখ,আজ জলতরঙে মন্দাকিনী ঢেউ। আকাস ঢলে পড়ছে নীলের ভারে। বিহঙের ডানায় ভর করেছে ইকোর নীল কষ্ট! চেয়ে দেখো ঝলসানো রুপের প্রতিবিম্ব নার্সিসাস, তোমার রুপে ময়ুর নাচে পেখম তুলে।তোমার স্পর্শে সন্দ্ব্যার যবানিকা আমার হৃদয়াঙনে।তোমারে প্রেমে নক্ষত্রের মেলা বসে তমঃগগনে। তোমার আগমনে আমার হৃদয়কাঁননে শহস্র বিহঙ কুহু কুহু ডেকে যায়।
আইনায় দেখো নার্সিসাস ! দাম্ভিকতায় তোমার আঁখি কুয়াচ্ছান্ন ভোরের মত ঝাপসা ! তোমার হৃদয় পুষ্প কাঁকনে বেহুলার মত তরঙ ঢেঊ তুলে নেচে যাই তোমার চোখের আড়ালে । চোখের ভাষায় তোমায় আহবান জানাই আমার হৃদয়ে পাতা রেশ্মী কোমল ভালবাসার গালিচায় ! সেখানে থরে থরে ফুলের সমারোহ ! সুগন্দ্বি মেখে দুহাত বাড়িয়ে ইকো তোমার প্রতিক্ষায় ! একবার দেখো ! ফিরে দেখো নার্সিসাস! এখানে কেবল ফুলের সৌরভ। এখানে নেই কণ্টকময় পথ ! আজ এখানেই পরুক তোমার উষ্ণ নিশ্বাস ।এখানেই তোমার পদধ্বনিতে তৈরী হোক অষ্টম দ্যুলোক ।
আমি গিরিকুন্ডে ভালবাসার ফল্গু নদী সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তোমার তরে। অথবা মোম হয়ে তোমার ভালবাসায় জ্বলে যেতে এসেছি। ফিরে দেখ নার্সিসাস ! ধুপমিশালী ঘাঁটে ইকো ভালবাসার শুন্য পেয়ালা হাতে! চোখের পাতায় বারুদ খশে পরে। বুকের পাঁজরে মহাকুণ্ড। সেখানে তোমার প্রেমের আগুন জ্বলছে দিবারাতি। জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাচ্ছি। ফিরে দেখ, মেঘময় চাদোয়ার তলে, বাকহীন ইকো তোমার স্পর্শের প্রতিক্ষায় মিশে যাচ্ছে মৃত্তিকার আঁশটে গন্দ্বে !
ফিরে দেখো নার্সিসাস, একটা বিস্তির্ন সবুজ মাঠ রেখেছি হৃদয়ের এক কোনে। ঘাশের সবুজ পাতায় শিশির বিন্দু জমা করে রেখেছি তোমার জন্যে। একটু ছুঁয়ে দেখ হ্রদ দেবতা ! তুমি ছুঁলেই ঝড়ে পরবে এক অরন্য সবুজ। নীলাকাস এসে চুমুবে জমিতে। ওই নদীর বাঁকে দেখোনাকো তোমার প্রতিবিম্ব। আমায় দেখো। আমার চোখে দেখ তোমার রেশ্মী মোলায়েম রুপের জৌলুস। আমার ভিতর খুঁজো তোমার প্রতিবিম্ব ! ফিরে দেখ নার্সিসাস ! মিশে যাচ্ছি তোমার অবহেলাইয়। চিত্তে বিষাদের করুন সানাই বাজে। তোমার চুম্বনে জীবন্মৃত আমায় জাগিয়ে দাও। এই ধরনী সাক্ষী, আসমান সাক্ষী, সাক্ষী সাত আসমানের দেবতা, সাক্ষী এই ভেজা মৃত্তিকা... তোমার রুপ কেবল আমারই জন্যে। ফিরে দেখো নার্সিসাস ! ইকো তোমার প্রেমে গিয়েছে হাড়িয়ে ! 


____________ ডার্ক এভিল।

তৃষিত নারী হৃদয়

তুমি পুরুষ, আমি নারী,
আমি অবলা, তুমি খুনী!
পুরুষ দন্ডে করেছ দন্ডিত,
কামনার তৃষ্ণায় হৃদয় করেছ খন্ডিত।

কতদিন হলো এ ওষ্ঠে চুম্বন পড়েনি,
কতদিন করিনি অশ্রাব্য ক্রোদন,
কতদিন হলো তোমার পৌরুষত্বে,
পিষ্ট হয়নি এ বদন।
বক্ষ বন্ধনীর দাগ গভীর হয়ে,
ফুটে ওঠে শুভ্র এ দেহে,
খুলিনি, তুমি এসে খুলবে বলে,
উষ্ণ দেহে জড়িয়ে নিয়ে।
তুমি নেই বলে সুযোগ খোঁজে,
ওই আকাশের চাঁদ,
আমার নগ্ন দেহ অবগাহন করে,
ফেলে মায়াবী জ্যোস্নার ফাঁদ।
দেহে জল জমা হয়,
মাসান্তরে আবার বেরিয়ে যায়,
আমার প্রতিটি জলকণা চেয়ে থাকে,
তোমার নগ্ন জলের প্রতিক্ষায়।
তুমি নাকি কবি!
হাজারও নারী হাবুডুবু খায় তোমার কবিতায়,
কই একদিনও তো আমাকে,
ডোবালে না তোমার প্রেম যমুনায়।
টাকা কড়ি আর প্রাচুর্য চাই না আমি,
ও সব তোমারই থাক,
চাই একটু তোমার বুকে মাথা রেখে,
কাটাতে নির্ঘুম রাত।
কি গো তুমি? কি এমন পুরুষ?
এত আনকোরা কেন? নাকি কিছুই বোঝো না,
জানো না নারী হৃদয়ের কথা,
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।
কোন এক বিষণ্ণ দিনে ভুল করে এসেছিলে তুমি,
ফিরিয়ে দেই নি, এলিয়ে দিয়েছিলাম এ দেহ,
কিন্তু তুমি আনাড়ির মত নারী হৃদয় ঘোলা করে,
অতৃপ্ত বাসনা রেখে গিয়েছিলে,
এ কথা বুঝবে কি কেহ!

__কাইয়ুম আকন্দ__

আমার কেবল রাত হয়ে যায় !!

আমার কেবল রাত হয়ে যায়!
ভাবতে গেলেই সন্ধ্যা ঘনায়,
দেখতে গেলেই নক্ষত্রের মেলা আঁধারে হাড়ায়,
আমার কেবল রাত হয়ে যায়!
ছুঁতে গেলেই মুষ্ঠি ভরে আঁধার রাশি,
কাছে গেলেই স্বচ্ছ আকাস নীলে নীলে ছেঁয়ে যায়।
যেদিকেই পদচারন আলোর খুঁজে,
কষ্টেরা দেখি লাল,নীল,হলদে,বেগুনী রংগা সাজে!
স্বপ্ন গুলো ছুঁতে গেলেই দৌড়ে পালায়,
ঝাপসা চোখে আঁধার ঘনায়,
মনের আঙিনায় কখন যে রাত নেমে আসে !
জ্বোনাকী পোকার মত একটা দুটো কষ্ট
সেই আঙিনায় জ্বলে আর নিভে !
আবার আঁধারে হাড়িয়ে যায়।
আমার চোখে বিশ্বের উচ্ছলতা স্থির হয়ে যায়,
সময়, ভোর, দুপুর, বিকেল সব কেবলই রাত হয়ে যায় !
রাত হয়ে যায়, ভুল হয়ে যায়, ভুলে ভুলে আঁধার ঘনায়
সেই আঁধারে ভীষণ কালো, বেসুরে কেউ খুব ডেকে যায়,
আমার কেবল রাত হয়ে যায় !!
শরীর চিনেনা ভিজে মাটির গন্দ্ব,
সৃতির পাতা বিষাদে জড়ায়।
যত হাজার রঙেই আকাস সাজাই,
বেলা শেষে কেবলই রাত হয়ে যায়।
ভোরের আলোয় ভাবতে বসেই,
ঝুপ করে রাত নেমে যায় !
আমার কেবলই রাত হয়ে যায়।


_________________________ ডার্ক এভিল।

তোমার জন্য

তুমি আমার প্রাণপ্রিয়া প্রাণের চেয়েও দামি
তোমাকে না পেলে বাঁচবো না আর আমি,
তোমার মত আপন করে কাউকে তো আর চাইনি
তোমায় ভাবার মত সুখ আর কোনদিন পাইনি,
তোমার জন্য করতে পারি একাকী বসবাস
তোমার জন্য হবো আমি হবো যে দেবদাস,
তোমার জন্য এই জগতে কাউকে পাইনা ভয়
তোমার জন্য করতে পারি মরণ যন্ত্রনা জয়,
তোমার জন্য বলতে পারি সবকিছুকেই আঁড়ি
তোমার জন্য দিতে পারি সাত সমুদ্র পাড়ি,
তোমার জন্য হারাতে পারি হাজার তারার ভিড়ে
তোমার জন্য থাকতে পারি ছোট্ট কুঠির নীড়ে,
তোমার জন্য ভিজতে পারি তুমুল বর্ষার জলে
তোমার জন্য মিশতে পারি দুঃখের মিছিলে
তোমার জন্য আঁকতে পারি হাজারো তিক্ত ছবি
তোমার জন্য হতে পারি ব্যর্থ অচেনা কোন কবি,
তোমার জন্য বাঁধতে পারি স্বর্গ সুখের ঘর
তোমার জন্য দিতে পারি মিথ্যা হাসির ঝড়,
তোমার জন্য ভাসাতে পারি অশ্রুজলের নদী
তোমার জন্য সইতে পারি কঠিন কষ্ট নিরবধি,
তোমার জন্য নিতে পারি হারানোর তিক্ত স্বাদ
তোমার জন্য কাটাতে পারি জ্যোৎস্না মাখা রাত,
তোমার জন্য দাঁড়াতে পারি কাঠফাঁটা রোদে
তোমার জন্য জ্বলতে পারি রাগে আর ক্রোধে,
তোমার জন্য বাসতে পারি সবকিছুকেই ভালো
তোমার জন্য মুছতে পারি ঘৃণার যত কালো,
তোমার জন্য দেখতে পারি চাদরে মোড়ানো স্বপন
তোমার জন্য করতে পারি শত্রুকেও অনেক আপন,
তোমার জন্য করতে পারি জগতের সবকিছুই অর্জন
তোমার জন্য দিতে পারি মধুর ভালবাসাটাও বিসর্জন।


....................মোহাম্মদ কামরুজ্জামান

তবে গেলাম সরে!!!

দুরে গেলেই যদি তোমার সুখ হয়,
যদি দুরে গেলেই ব্যাথা উপশম হয়,
তবে না হয় দুরেই চলে গেলাম!
দুরে গেলেই যদি এক আকাশ শান্ত হয়,
যদি দুরে গেলেই ধরনী কোমল রয়,
তবে না হয় আকাশের বুকে শুভ্র জলছায়া আর নাই বা খুঁজলাম!
বদলে যাওয়া যদি তোমার নতুন পথের সুঁচনা হয়,
যদি আমার ছাঁয়া তোমার পথের অন্তরায় হয়,
তবে না হয় লুকিয়ে গেলাম গুধুলী বেলায় রক্তিম আভায়!
মন বিষাদে পুড়িয়ে দিলাম আমার সব আনন্দ!
সরে গেলাম....
সরিয়ে নিলাম নির্জনে গোপনে স্বপ্ন বুনা এ মন!
দুরে গেলেই যদি ভালো থাকো,
তবে গেলাম দুরে, বহু দুরে, তোমার মায়া ছেড়ে,
কষ্ট যত বাহুডুরে, যাক উড়ে, নিক এ প্রান কেড়ে!
সুপ্ত লয়ে, মনের কোনে, হোক তম বিষাদ,
তবু ভালো থাকো,একটা সকাল, একটা বিকেল,
পুর্ন হোক তোমার সাত জনমের স্বাধ!!!
থাক না আমার সন্দ্ব্যা বাতি, আধো আলো আধো নিভি,
যাক না জ্বলে একলা রাতি,চোখের কোনে কাজলা দিদি!!
দিন হয়ে যাক আঁধার কালো, বুকের পাঁজর ভেঙে গুড়ো,
শ্মশান ঘাটে লাশ হয়ে যাই, হোক তবু তোমার স্বপ্ন পুরো!!
দুরে গেলেই যদি সুখে থাকো,
তবে নিলেম তুলে, অনাধীকার যত, চরা দামে দিয়েছিলে কিনে,
গেলাম ভুলে, আনন্দ যত, তোমার আমার এক সনে!!
দুরে গেলেই যদি তুমি সুখী হও,
না হয় গেলাম সরে!
রাতের তারা, পড়ুক ঝরে, মন খারাপের উঠোনে,
একটা নদী, একলা থাকুক, তোমার আমার বিহনে!
যাক ধুয়ে আজ, ব্যাথা যত, অশ্রুজলে ভেঁশে,
দুরেই থাকি, তবু যদি, বসুমতি উঠে হেসে!
দুরে গেলেই যদি ভালো থাকো,
তবে না হয় গেলাম দুরে!!!
ধুলো পথে, একলা ঘুরে, দু:খ নিলেম কিনে,
খুঁজি উপায়, বেঁচে থাকার, তোমার বিহনে!
দুরে গেলেই যদি ভাল থাকো,
তবে গেলাম সরে!!!



_________ডার্ক এভিল।

জীবন সায়াহ্নে।

জীবন সায়েহ্নে, একাকিনী শকুন্তলা,প্রভাত অংশু গিয়েছে হাড়ায়ে
জোছনা ছেঁয়েছে, তম বিষদ্বে আজি,অমানিশা বাজুতে দ্বি-প্রহর দাড়ায়ে!
স্বর্নালী মোখর,দিবাক্ষন রাতি, বহিয়াছে অকুল সাগরে,
সময় হাড়িছে, কালের বাজিতে, রব উঠিছে সমীরনে ।
চেনা মুখ, চেলা গলি, অন্দ্ব শহরের অচেনা দুর্গন্দ্ব !
সৃতিরা ভিরে, বারে বারে, জীবন দুয়ার যেথায় বন্দ্ব।
ভাঁশিছে সবি,উর্মি দোলনে, বারিধারা নয়নসলিলে যত।
ক্লেশ ঢলিছে,নব দিগন্তে, ঊষার আঁচলে উন্মাদনা মৃত।
ঝরে পরা পুস্প, দেখিছে চেয়ে, গাইছে সৃতির বন্দনা।
দীগম্বর ভরিছে, বেদনার ভারে, স্তিতিহীন সময় তো ফিরে না।
কাশফুল মেঘমালা, ডাকিছে পিছে, ফেলে আসা শরতের গাংচিল,
বিবর্ন মন, আছড়ে পরে উঠোনে,সৃতির ভাঁজে খুঁজে শাপলার ঝিল ।
ফেলে আসা ৪ যুগ, আসে না ফিরে, চিত্তে উঠায় ঝড়,
পুরনো সৃতিরা ভিরে,একাকী সন্দ্ব্যায়, চেনা মুখ গুলো হয়েছে পর!
তটিনী বহে, বহে সময়ের শ্রোত, তিমিররজনী পোহায় হেলায়,
হয়না দেখা,সেই মেঘদুতের মেলা,
যেথায় নক্ষত্রের ভালবাসায় সুধাকর হাড়ায়!
জীবন সায়াহ্নে আজি,তব মন পুড়ে বিরহে, একাকী দাড়ায়ে শকুন্তলা,
ভাবিছে সিক্তনয়নে,চিকুর উড়িছে সমীরনে,গিয়েছে ডুবিয়া বেলা!


-------------ডার্ক এভিল।

বাহুডোেরে

এক ফালি মৃগাঙ্ক,হাসিছে আজি,তম গগন জুড়ি ,
অদৃশ্য ভিতর নড়িছে, চপলার, এ কাহার তরে!
তন সদৃস, অদৃশ লগ্নে মন যেথা হারে,
উড়ু উড়ু চঞ্চলা, দিশাহীন চোখে কাঁদিয়া মরে!
বেলা ঢলিছে, বিভাবরীর বক্ষে সমর্পন হিমাংশু,
বিধি অনুসারে,ইন্দুধনু জাগিছে,নক্ষতের কোলাহলে!
সাধন ভজন বাকি, যায় দিবারাতি,উড়ে মন উড়ে,
তন মন আজি,হাড়িছে বাজি,অপোয়া কোন ঝড়ে!
চঞ্চলা ভীতু,মরন পণ করিয়া ,ঘর ছাড়িছে দুরে,
ওরে রাখিবে কে তাহারে,আপন করিয়া, মন চলিছে অচীন পুরে !
সে চলিছে, তরঙ্গ বাঁকে, জাগিছে কানন গিরি,
জ্বলিছে তাহার,অন্তরাত্বা সমাধী, আকাস বাতাস চিরি !
চঞ্চলা চপলা ,দেখেনা ফিরিয়া, দেখেনা তমিস্রারজনী ভেদিয়া,
বিরহ ব্যাথা, আজি ভুলিতে উতলা, নয়নসলিলে চায় না ফিরিয়া !
চঞ্চলা অভীক,চঞ্চলা কৃশানু, অভিলাষ জাগিছে প্রানে,
রাখিবে কে তাহারে, ভুজ বাঁধিতে ,চিকুর উড়িছে বসন্ত গানে !
বিরোধ করিছে,সুরলোক গমনে,জলে ভরিছে আখি ,
ওহে নৃপতি, ত্রিদশ, অবনী, বাহুডুরে তারে রাখো ঢাকি !!!



_________ডার্ক এভিল

অসুস্থ্য পৃথিবী !

এক ভয়াবহ অসুখে ভুগছে পৃথিবী আজ বহুদিন!
কুৎসিত কদাচারে ,
পৃথিবী হাড়িয়েছে তার সরল কোমল অবয়ব সৌন্দর্য্য!
বাতাসে উড়ে লাশের গন্দ্ব,
গায়ে কলংকের ছাপ।
সবুজ শ্যামল গায়ের মেঠো পথে,
হয়না কৃষকের সরলাপ!
চোখের কোলে ক্লান্তির ছাপ প্রকট,
নস্ট গদ্যের ছন্দে লাজে মরে বিশ্বাস।
কলমের কালিও মিথ্যের বুলি ঝারে ,
সততার হয়েছে বিনাশ !!
জিবনানন্দ বলেছিলেন বহুদিন আগে,
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে-এ পৃথিবীতে আজ।
যারা অন্ধ আজ চোখে দ্যাখে তারা;
তিনি কি জানেন পৃথিবীর অসুখ আজ হাজার গুন তীব্র,
গায়ে মৃত কচ্ছপের গন্দ্ব আর আধিপত্যবাদী শক্তিতে,
পৃথিবী আজ স্বজনহারা ছন্নছাড়া !!!! ?
পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে যখন বইছে দুষিত বাতাস,
বারুদের গন্দ্বে শ্বাসরুদ্ব নারী, পুরুষ,শিশু বৃদ্বা ,
চতুষ্পদ প্রানীগুলো দেখি তখন ,
চা এর কাপ এ খুঁজে মুখরোচর সমালোচনা !
পৃথিবী আজ বিবেক শুন্য,
বিশ্ব মানবতা যেন যাদুঘরে বন্দ্বি !
হীম গন্দ্ববহে নিশ্চুপ চারিদ্বার,
রক্তক্ষরন অবিরত, মৃত মাছের ন্যায় জ্বলজলে চোখ,
মানবতা আজ রক্তস্নাত পৃথিবী ,
পৃথিবীর নতুন নাম হয়েছে মৃত্যু উপত্যকা !!!
পুঁজিবাদী হিংস্র দানবদের নখের আঁচরে ,
ক্ষত বিক্ষত আজ সর্বস্তরের দুর্বল শ্রেনী।
৬০ বছরের বৃদ্বার হাতে ধর্ষিতা ৫ বছরের শিশু,
ভয়ংকর রক্তাক্ত চোখে দেখ,
জেগে আছে ওই নিষ্ঠুর লোভাতুর প্রানী।
জেগে উঠুক প্রতিটি বিবেক স্বত্বা ,
জাগুক দ্বারে দ্বারে মানবতা,
কলমের কালি তুমি লিখেছো কত ইতিহাস,
এবার তোমার কালিতে থামুক পৃথিবীর বর্বরতা !!!


_________________ ডার্ক এভিল

'বুক' নামে শশ্মান

ওটা আসলে বুক নয় ,
একটা শশ্মান যেথায় অবিরতভাবে দাহ হচ্ছে স্বপ্নের ,
ভালোলাগার , ভালোবাসার ।
ওটা আসলে বুক নয় যেন এক মৃত্যুপুরী ,
 যেথায় মৃত্যু বরণ করছে অনেকের মধুর অনুভূতির ,
 আশার , প্রত্যাশার ।
ওটা আসলেই বুক নয় ,
বুকের বাম পাশে বা তার ও গভীরে তো হ্নদয় থাকে ,
যেথায় ভালোবাসা নামে এক অনুভূতির বাস ,
যে অনুভূতি কাউকে ভালোবাসে বা ভালোবাসতে শেখায় ,
যে অনুভূতি অন্যের ব্যথায় কাঁদে ,কষ্ট পায় ,
যে অনুভূতির কারণেই যুগে যুগে কালে কালে দু জনের সম্পর্ক টিকে থাকে । 
ওটা আসলে বুক নয় যেন একটা যমকূপ , 
যে কূপে শুধু হিংস্রতা , মিথ্যা , প্রতারনা , বেহায়াপনা আর অবিশ্বাসের বাস । 
ওটা আসলে বুক নয় , 
একটা ভাঁগাড় যেন , যেথায় একবার একবার ঢুকলে আর বেরোনো মুশকিল , 
যেথায় বসবাস অসংখ্য নারীর দীর্ঘশ্বাসের । 
ওটা আসলেই বুক নয় , 
একটা কবর , যার ভেতর সকল ভালোবাসা , 
প্রত্যাশা , আবেগ ,অনুভূতি , চাওয়া -পাওয়া গলে পঁচে দূর্গন্ধ ছড়ায় ।
যে শশ্মান থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরোয় সব হারানোর , 
যে শশ্মান শুধু নিতেই জানে দিতে নয় । 
একরাশ চাপা হাহাকার নিয়ে ঐ বুক নামের শশ্মানে হয়তো বসবাস হবে কোন এক অভাগীর ।

লিখা: ছায়া পথ

নির্ঘুম রাতের অপেক্ষয়

 ভেবেছিলাম একটি নির্ঘুম রাত তোমায় দেবো উপহার ,
তারার আলোয় আলোকিত এ পৃথিবীতে দু জন রবো দু জনের দিকে চেয়ে ,
আর তোমার পলকহীন চোখ আমার দিকে চেয়ে রবে কোন এক বাসনায় . . . . .
একটু শান্তি পেতে তোমার গতিবিধি হবে দেহের ভাঁজে ভাঁজে ।
ভেবেছিলাম একটি নির্ঘুম রাত তোমায় উত্‍সর্গ করবো .
এ চেনা পৃথিবীর একপ্রান্তে তুমি আরেক প্রান্তে আমি ,
তুমি যেন কান পেতে আছ আমার অপেক্ষয় ,
যেন জন্মাবধি চেন আমায় ,
ফাল্গুনি হাওয়ায় শিশিরের ছোয়ায়
 ঘুঘুর বুকেয় মতো নরম আঙুল চালাবে আমার ঘন কালো কেশ বিন্যাসে , 
আর ফিসফিসিয়ে বলবে -"ভালোবাসি তোমায়" । 
পউষের গাঢ় শীতের রাতে ম্লান জানালায় 
পাখি যেমন উড়ে আসে নীরব সোহাগে . . . . . 
তেমনি করে তুমি রবে আমার চারিধারে 
আর আমি দাঁড়কাক হয়ে সারারাত জেগে রব তোমায় ভালোবেসে । 
কিন্ত না তোমায় আমার আর নির্ঘুম রাত উপহার দেয়া হলোনা , 
রাঙা রৌদ্রে মাছরাঙা হয়ে কোন এক অপরাহ্নে উড়ে গেলে তুমি . . . . 
আর আমি গভীর উদাসী হয়ে অপরুপ কুয়াশায় চেয়ে তোমার চলে যাওয়া পথপানে . . . . . . ।

লিখা: ছায়া পথ

সততার মূল্য (অণু গল্প)

ঢাকা শহরে সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার ন্যায় টোকাই বাস করে। এদের পরিচয়ই টোকাই, বাবা মায়ের পরিচয়ে এরা পরিচিত নয়।
সামনে ঈদ, তাই সকাল সকাল ছোটকু টোকাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ল। আসল নাম কেউ জানে না, বয়সে ছোট তাই সবাই ছোটকু বলেই ডাকে। মাত্র বার বছর! আজকাল মানুষ গুলো ও কেমন হয়ে গেছে, কোন জিনিসই ফেলতে চায় না। আজ খুব কম জিনিসই কুড়িয়েছে ছোটকু। সামনে ঈদ, ছোট বোন কে একটা জামা কিনে দিতে হবে, নিজের জন্যও একটা নেবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই আজ সারাদিন রাস্তায় কাগজ কুড়িয়েছে। কিন্তু আজ বেশি কিছু পায় নি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে পার্কের এক গাছের নিচে বসে পড়ল। পাশেই এক ভদ্রলোক বসে আছে। পোষাক দেখে অনেক বড়লোকই মনে হল ছোটকুর। এরা আজকাল হাওয়া খেতে পার্কে আসে.. টাকা ফুরোনোর জায়গা নেই এদের, মাঝে মাঝে নাকি হাওয়া খেতে সমুদ্রে ও যায়.. যতসব বড়লোকি কারবার...
ভদ্রোলোক টি উঠে চলে গেল। যাক ওদিকে মন দিয়ে লাভ নেই, আমার কাজ করতে হবে, আপন মনে বলল ছোটকু। হঠাৎ তার নজরে পড়ল বেঞ্চের উপর একটা মানিব্যাগ পড়ে আছে। সে মানিব্যাগ টি খুলে দেখল ভিতরে ওই ভদ্রলোক টির ছবি আর অনেক টাকা, প্রায় বিশ হাজার। এটা দিয়ে ছোটকুর প্রায় অর্ধ জীবনের ঈদ হয়ে যাবে।
ছোটকু কি যেন ভালল, হঠাৎ তার মনে পড়ল, রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে সে একদিন একটা বাংলা ছবি দেখেছিল। ছবিতে নায়ক এমন ভাবে অনেক টাকা কুড়ে পেয়ে মালিক কে দিয়ে দেয়, মালিক তাকে ছেলের মত আদর করে, একটা ভাল চাকরি ও দেয়।
লোক টা এখনও চলে যায় নি। ছোটকু দৌড়ে তাঁর কাছে যায়, মানি ব্যাগটা তাকে ফেরত দিয়ে বলে- স্যার এইডা আফনে ফেলে এসেছিলেন, দেহেন সব ঠিক আছে কিনা।
ছোটকু ভদ্রলোকটির দিকে চেয়ে থাকে একটু স্নেহ আদর ও সততার মূল্য পাওয়ার আশায়।
লোকটি যেন তাঁর হারানো ধন ফিরে পেল। তাড়াতাড়ি মানিব্যাগ টা পকেটে রেখে ছোটকু কে বলল - থ্যাঙ্ক ইউ! এরপর পথ ধরে চলে গেল।
মূর্খ ছোটকু থ্যাঙ্ক ইউ কথাটার মানে বুঝল না, বিষণ্ণ মনে হতবাক হয়ে ভদ্রলোকটির চলে যাওয়ার পথে শুধু চেয়ে রইল...............


__কাইয়ুম আকন্দ__

টুনু দাদার দোকানে আমার লাল পরী উড়ে

 সর্বনাশা পদ্মা নদীই সফর মিয়ার শেষ সম্বল পৈতৃক ভিটাটিও কেড়ে নেয়। উপায় না পেয়ে,গফুর
চাচার পুরনো বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়িটা মেরামত করে ছোট্ট একটা কুঁটির গড়ে তুলে সে। স্ত্রী রাহেলা আর পাঁচ বছরের মেয়ে অন্তুকে নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিল সফর মিয়া। তার উপর রাহেলা চার মাসের অন্তস্বতা। চারদিকে অভাব তার উপর নতুন মেহমানের আগমন সফর মিয়ার চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম।
অনেক ভেবে, জীবিকার তাগিদে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালো সফর মিয়া। ঢাকায় নাকি টাকা উড়ে। এখানে এসে সফর মিয়া টাকা উড়ার কোন নাম গন্ধ পায় না। বরং ,সাথে করে যে টাকা নিয়ে এসেছিল, সেই টাকার থলের ওজন দিন দিন কমতে লাগলো। কাজের আশায় প্রতিদিন সকালে বের হতো,আর রাতে ম্যাসে ফিরতো।
এমনি করে দিনকাল চলতে থাকে। পরিবারের জন্য এখনো কোন টাকা পাঠাতে পারে নি সফর মিয়া। চিন্তায় কপালে ভাজ পড়ে সফর মিয়ার। লজ্জায় রাহেলার খোঁজ নিতে পারছে না। আবার, বাড়ির কথা মনে পড়লে হুহু করে কেঁদে উঠে মন। স্ত্রী , সন্তান কি খাচ্ছে নাকি খাচ্ছে না, কিছুই জানতে পারছে না।
অভাবের বাজারে শেষমেস বাদাম ফেরী করতে বাধ্য হয়। সারাদিন বাদাম বিক্রি করে , যা লাভ হয় তার অর্ধেকটা নিজেরই থাকা খাওয়ার পিছনে খরচ হয়ে যায়। মাস শেষে যে টাকা বাড়ীতে পাঠায় , তাতে কোন রকম মাস পার করে রাহেলা।
সেদিন গফুর চাচার নাম্বারে ফোন করে রাহেলার সাথে কথা বলে। রাহেলার শরীর বেশি ভাল না। আর মেয়েটা মিষ্টি করে বায়না ধরে বলে,"বাজান, ঈদে আমার জন্য দামি দেইখা লাল ফ্রক কিন্না আনবা কিন্তু। যদি না আন তোমার লগে কথা নাই।"
সামনে ঈদ ,মেয়ের এমন অসাধ্য বায়না পূরণ করবে কিভাবে?? যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। সেদিকে এমন বায়না তো আকাশ-পাতাল কল্পনা।
দেখতে দেখতে রোযা প্রায় ১০টা শেষ। রোযার মাসে বাদাম বিক্রিতে সুবিধে হচ্ছে না।তাই দিনের বেলা ভাড়ার ভ্যান গাড়িতে করে কাচাঁ তরকারি বিক্রি করে, কিছু অর্থ উপার্জন করে।
সেদিন,তরকারি বিক্রি করতে সায়দাবাদের দিকে যায় সফর। ম্যাসের টুনু দাদার দোকানে ঝুলানো লাল ফ্রকটা দেখে খুব নজর কাড়লো তার। সামনে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করতেই মাথায় হাত সফর মিয়ার। সামান্য এই ফ্রকটার দাম ২০০০/- টাকা। ড্রেসটা ধরছিল আর কল্পনায় বারবার মেয়ের মুখ খানা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। মেয়েটা ফ্রকটা পড়লে লাল পরীর মত লাগবে একদম। টুনু দাদার ডাকে কল্পনার জগত থেকে ফিরে আসে সফর।
সেদিনই,টুনু দাদার পকেটে সেদিন ১০০ টাকা গুজে দিয়ে বললাম,জামাডা পছন্দ হইছে টুনু দাদা। টাকাডা জমা রাখিও আমানত স্বরূপ। তিনি আবার শর্ত দিছেন,২৫ রোযার আগে টাহা পরিশোধ করতে হইবো।তিনি সেদিন বাড়ি চলে যাবেন।
আজ রোযা ২৪টা হলো। কোনোভাবেই টাকার অংক মেলাতে পারছে না সফর মিয়া। কপালে ভাজ তুলে সন্ধ্যায় ম্যাসে বসে বারবার টাকা গুনছিল। সবমিলিয়ে মাএ ১২০০/- টাকা হইছে। আরো ৭০০টাকার টান।
একদিনে এত টাকা কোথা থেকে যোগাড় করবে সে। ভাবতে ভাবতে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল , সে তার নিজের শরীরের রক্ত বিক্রি করবে। যেই কথা সেই কাজ। আজ ২৫ রোযা,টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেডি হয়ে পাশের ক্লিনিকে গেল রক্ত দিতে।
কর্তৃপক্ষ সফর মিয়া রোগা আর দূর্বল হওয়ার কারনে রক্ত নিতে অমত জানায়। হতাশ হয়ে সফর মিয়া কাঁদতে শুরু করে। অনেক অনুরোধ করার পর একব্যাগ রক্ত নিতেই রাজি হয়। বিনিময়ে তারা সফর মিয়াকে ৮০০ টাকা দেয়।
সফর মিয়া টাকাটা হাতে নিয়ে যেন স্বর্গ হাতে পেল। দেরি না করে টাকাটা নিয়ে সোজা টুনু দাদার দোকানে যায়। যে করেই হোক, মেয়ের মুখে সে হাসি ফোটাবেই।
মেয়ের জন্য টুনু দাদার দোকান থেকে লাল জামা কেনা হয়েছে। শরীরটা প্রচন্ড দূর্বল। সেই দূর্বলতা নিয়ে সফর মিয়া বাসের ছাদে চড়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিল।মেয়ের মুখের হাসির সামনে এই দূর্বলতা তো কিছুই নয়। বাসে বসেই, আবার কল্পনা করতে লাগলো লাল ফ্রক পরা পরীটার কথা।
বিঃদ্রঃ সন্তানের এক ফালি হাসির জন্য বাবা-মায়ের জীবনের পরবাও করে না। তবুও,কিছু সন্তান সে ত্যাগ ভুলে যায় অবলীলায়। ঈদ বয়ে আনুক প্রতিটি মানুষের মনে সফর মিয়ার মত খুশি আর আনন্দ।

লিখা: প্রান্তিক চৌধুরী

দেখিবো না আর তারে!

দেখিবো না আর তারে কোনদিন; হবেনা কথা তার সনে!
আষাড়ে গুরু গুরু জলদ গর্জায়, শ্রাবন মেঘে ভিজে কাকতারুয়া,
বালিহাঁস পাখনা মেলে বর্ষার জলে; চৈতালী ক্ষর রোদে শুকায় নোনা জল!
তবু আসিবে না ফিরে সে প্রভাত কালে আর,
রাখিবেনা সুনিপুন বাজু কাঁধে
আসিবে না অবেলায় ওই নদীর ঘাটে,
বসুমতি যেখানে প্রকৃতি কে রাখে বেধে!
লতায় পাতায় জড়ায় সবুজ সবুজে ;
দেখিব না আর তারে কোনদিন,
আসিবে না সে ফিরে, কইবে না কথা,
এ কোন সুরে বেদেনী বাজায় সর্পবিন!!
মানব-মানবীর পরিসমাপ্তি অসুরা কালে,
ধরিত্রীর নিয়ম সঙমে বিহঙ ডালে ডালে,
অম্বর চুমোয় দিগন্ত মিলনে
তটিনীর সমর্পন হয় উর্মি দোলনে!
দেখিবে না সে আর কোনদিন হৃদয় দুয়ার মেলে,
ফিরিবে না আর; চা এর কাপ হাতে কোন সন্দ্ব্যাকালে!
নক্ষত্রের সারি ঢেকে দিবে দুরাকাশ;প্রভায় আলোরিত চারিদ্বার,
পাশের বনবিতানে ঝুপ করে নামিবে সন্দ্ব্যা; কুঁমড়ো মাঁচায় ঝুলিছে অবয়ব কার!
ঘাটের মাঝি তরী ভিড়ায় ঘাটে, আঁধার নামে কলতলে,
ওরে আসিবেনা আর সে কোনদিন; দেখিবো না তারে ইহকালে!
গিয়েছে সে চলে, অমাবশ্যা নামে, ঘোর বিষাদে প্রান যায় যায়!
কে নিল কারিয়া, খনিকের দরিয়া, প্রবল ক্ষরায় সুপ্ত মন কাঁদায়!
বিষধর কালপিনী জড়ায়ে ধরে মোরে, নিশ্বাসে ক্ষয় বিশ্বাস,
দেখিবো না আর কোনদিন তারে,হবেনা কথা,
হবেনা দেখা অশ্বথের তলে!
এক ফালি চাঁদ হারে জোছনার কাছে, বেদনায় নীল আমার আকাস!!
দেখিবো না আর কোনদিন তারে, পরিবে না দুয়ারে তার উষন নিশ্বাস !!



----------- ডার্ক এভিল

ঋণ

 দেখ না মা তুই কি করেছিস
ছোট্ট খোকার জন্যে।
সব কিছুতো বাপ করেছে
হয়েছি তাই ধন্যে।

খেলনা বাদ্য , লিখা পড়া
খাদ্য বস্ত্রের বায়না।
এসব আব্দার বাপকে করি
তোকে করা যায়না।
এই বাপটি সকাল বিকাল
চিন্তা বেশী করে।
কি করবে ছেলে আমার
যাই যদি আজ মরে।
মুচকী হেসে , মা' টি আমার
মাথায় বোলায় হাত।
কে দিয়েছে সকাল বিকাল
মুখে তুলে ভাত।
দিনরাত কে জেগেছিল
ছোট্ট বাবুর সাথে।
হাত দুখানি উঠেছে কার
রোগমুক্তির দোয়াতে।
মুচকী হেসে বললো যে মা
পারবি দিতে ঋণ
জন্মিলগ্নের কষ্টপাহাড়
দশ মাস , দশদিন।

____  ফেসবুকারবার্গ

দোদুল্যমান রিলেশনশীপ

একাকীত্বটা ইদানিং খুব ডিসটার্ব করে আমায় ,
ফুলে ফেঁপে ওঠা হ্নদয়ের জমানো যন্ত্রণা
দুমড়ে মুচড়ে দেয় হ্নদয়ের সান বাঁধানো ঘাট ।
নিয়তির কি অদৃশ্য বেড়াজাল !
কত কাছে তুমি তবু কত দূর !
মাঝে মাঝে নিজেকে বড়বেশি জয়ী মনে হয় ,
ক'জন মানুষ একাকিত্বকে জয় করতে পারে ?
আমি পেরেছি হয়তো তোমার বদৌলতে !
আমি একা হতে চাইনি , তুমি করে দিয়েছো ,
অথচ দেখ আমায় একা করতে গিয়ে তুমি কি একা হয়ে যাওনি ?
অনেকদিন পর নিজেকে সুখী মনে হয়ে এখন ,
অগোছানো জীবনটা অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছি ।
ভাবি তোমাকে নিয়ে আর লিখবনা কোনদিন ,
তারপর ও কোন এক অদৃশ্য বন্ধনে আমার লেখার কেন্দ্রবিন্দুতে তুমি এসে পর ,
আমি আজো সত্যি জানিনা তোমার আমার সম্পর্কটা আসলে কি ছিল ?
শুধুই বন্ধুত্ব নাকি আরো কিছু ?

লিখা: ছায়া পথ

ভীষন ক্ষরা

কতবার তোরে বলতে গিয়েও চেপে ধরেছি ঠোট ...।।
নিশ্বাস এসে থেমে গেছে নাসিকার শেষ প্রান্তে।
মৃন্ময়...
বুকের উপর তুই বসে আছিস
ভালবাসার তলোয়ার হাতে !
ভীষন ক্ষরায় তৃষ্ণা জাগে,
তোর বহনে ত্রিদশালয়ও বড় বিষাদ লাগে !
একটা আলতো ছোঁয়ার অপেক্ষায়,
শুধাংশু ও যেন দ্বিপ্রহরে জাগে !
তোর ওই নীরব চোখের দোলায়,
কেন যে আমি ছন্দ হয়ে যাই !
তোর না বলা ভাষায় শব্দ খুঁজে পাই !
কতবার তোর চোখে দেখতে চেয়েছি প্রেম।।!
মনের আঙিনায় নীল কষ্টের মল পায়ে,
ঝংকারে মোহিত করতে চেয়েছি তোর হৃদয় !
তোর ধমনীতে মিশে যেতে চেয়েছি কতবার !
তবু ছুঁতে পারিনি তোর হৃদয় ।।!!
কতবার যে ভালবাসি বলতে চেয়েও ভীতু চোখে ঝরেছে জল ,
তা কেবল আমার স্রষ্টাই জানেন !!
কতবার প্রকৃতির সবুজ হয়ে,
লেগে থাকতে চেয়েছি তোর দুচোখে !
কতবার যে শব্দের ছন্দে,
কষ্টের সুতোয় ভালবাসা গেঁথে
পরাতে চেয়েছি তোর গলায় !!
সে কথা কেবল আমার মনই জানে !
কতবার মিশে যেতে চেয়েছি তোর আবেশে,
যেমনটি প্রকৃতিকে ভালবেশে অম্বর মাটিতে মিশে !!
মৃন্ময়...।
তুই বড় পাষান !
তোর পাশবিকতা যেন ,
নেরো'র ভয়ংকর মানসিকতাকেও হার মানায় !
অদৃষ্ট বলে যদি কিছু থেকে থাকে,
তবে তুই জেনে রাখ...।
এই শশাঙ্ক, দিবাবসু, ত্রিদশ সাক্ষী ,
সাক্ষী বিহঙ্গ, শৈবালিনী, গন্ধবহ
আরো সাক্ষী এই নীলাম্বরে ভাসমান জলধর,
তুই কাঁদবি সেদিন রবোনা যেদিন,
মেদিনী বক্ষে তুই খুঁজবি আমায় একদিন !
মৃন্ময়...।।
বুকের উপর তুই বসে আছিস
ভালবাসার তলোয়ার হাতে !

________ডার্ক এভিল

তুমি-ই সুখী হও -২

হৃদে গাঁথা দুঃখ-ক্ষত পুন্জ্ আকাল,
বুক চিরে আজ রক্ত কান্না বেরুল_ এই ছিল ভা্ল।
পাঁজরে ঐ তব গাড়িল সেল-সিন্ধু;-
ভালবাসা দুরাশা, প্রণয় ঝড়ে হয়ে বিষ-ব্যাথা-বিন্দু।
...................................................................
প্রেয়সী, আজি জনমের যৌবনে বাজিল মৃৎবীণ,
জড়ায়িল হা-হাকার - ক্ষতবেশ হৃৎ গহীন।
ক্ষণে ক্ষণে ক্ষয়িল আজ - পূর্ণ কামনার,
নিস্তেজ হল মন - পেল তীক্ষ্ন হা-হাকার ।
অদৃশ্য- অবোঝ- অজানা স্বপনে-
উপহাস নাচিছে, দিবা-রজনী এফোড়-অফোড় দহনে ।
তবে আজ শুধু চল পাড়ায়ে মরু দিন
বাস্তুভিটা ছাড়ি একদিলে পথ উদাসীন!
কেউ জানেনা"ক,- শুধু তুমি আমি জানি,
জানি, চরণতলে চোখ ভিজায়েছিল সারাবেলাখানী,
বলেছিল- যেচেছিল- অশ্রু কলমে লিখিল বাণী,
তোমার অম্লান বদন পদাঙ্ক কাহিনী !!
.......................................................
__________ফরহাদ আহমেদ

ছোটন সোনার ঈদ



চাঁদের হাসিতে বুক ভরা মায়া নিয়ে,
ঈদ এসেছে সবার ঘরে।
কোলাহল- হাসি ভরা সবার মনে,
ঈদ এলো ঘরের দুয়ারে.....

রাস্তার পাশে ঐ ছেলেটি বসে আছে
নদীর সেই তীরঘেঁষে।
কাঁদছে অনবরত,মায়ের কথা ভেবে।
ঈদ হেসেছিল কোন একদিন তার ঘরে,
বাটি ভর্তি পায়েস নিয়ে মা বসে ছিল পাশে।
কত না মায়া আর আদর সোহাগ
করে খাইয়ে দিয়েছিল পায়েস ছোট্ট
ছেলেটিকে কোলে তুলে..
একটা বেলুন আর দুটো চকলেট বাবা নিয়ে এসেছিল
নামাজ শেষে...
ছোটন সোনার মিষ্টি হাসিতে, বাবা হেসেছিল
প্রানটি ভরে...
পর সমাচার এলো বলে,
বাবা-মা তার পৃথিবী ছাড়লো...
কোন এক রোড এক্সিডেন্টে,
বিশালতা নেমে এল ছোটন সোনার জীবনে।
হাহাকার তার বুকের মাঝে।
নীল আকাশে অঢেল মেঘের ভিড়ে,
চাঁদটি এখনো তারাদের পাশে অনবরত হেসে যাচ্ছে।
এক জোড়া চোখ পৃথিবী থেকে,
খুঁজে বেড়াচ্ছে মা-বাবাকে,
আসবে কি মা আবার??
ছোটন সোনাকে পায়েস খাওয়াতে।
নীলাভ আকাশের নীড়ের তরে,
মায়া ভরা দু জোড়া চোখ এখনো তাকিয়ে ছোটন
সোনার পানে....
ছোটন যেন চন্দ্রবিন্দু।
ছোটন যেন চাঁদ।
ঈদের খুশি ছড়িয়ে যাক,
সবার কষ্টের ইতি হোক।


লিখাঃপ্রান্তিক চৌধুরী

তুমি নেই

তুমি নেই--
মৃন্ময় আমার ঘুম আসে না।
তুমি নেই--
রাতের শেষে ভোর আসে না।
তুমি নেই--
হৃদয়ে রক্তক্ষরন,কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
তম বিষাদে আমার মরন,কেউ বুঝেনা।
তুমি নেই--
বেদনায় নীলাকাশ নুঁইয়ে পরে,কেউ জানেনা।
তুমি নেই--
সুধাকর দুর গগনে আলো জ্বালে না।
তুমি নেই--
এক পৃথিবী নীরবে রয়, প্রকৃতি হাসেনা।
তুমি নেই--
বিহঙের বিরহ জ্বালা কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
মন কাঁদে,কেউ শুনেনা।
তুমি নেই--
চোখের জলে ভাঁশি,কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
অন্দ্বকারে ডুবি, কেউ খুঁজেনা।
তুমি নেই--
এ বিরহ প্রানে সয়না।
তুমি নেই--
গুধুলীর রক্তিম প্রভা আমায় রাঙায় না।
তুমি নেই--
সন্দ্ব্যার মুখে কেউ গান শুনায় না।
তুমি নেই--
চোখের ভীতর কষ্ট নড়ে,কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
বিষন্নতায় ছেঁয়ে যায় মন,কেউ বুঝেনা।
তুমি নেই--
শরতের আকাশে শুভ্র মেঘ আর ভাঁসেনা।
তুমি নেই--
বায়ুমন্ডল থমকে যায়,কেউ ভাবেনা।
তুমি নেই--
সাহারার বুক ক্ষরায় ফাঁটে,ঝর্না বয়না।
তুমি নেই--
বরফ শীতল দৃস্টি কঠোর,কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
কষ্টেরা গলা চেপে বসে,কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
অভিমানে নিঃশ্বেস হই,কেউ বুঝেনা।
তুমি নেই--
ভাললাগেনা ভাললাগেনা কিছুই ভাললাগেনা।
তুমি নেই--
নস্ট গদ্যের মত কেউ নিশীথে ছুঁয়ে যায়না।
তুমি নেই--
ব্যাস্ত শহরে একলা হাটি,কেউ তাকায় না।
তুমি নেই--
আমার দহন সারাবেলা,কেউ বুঝেনা।
তুমি নেই--
জীবন যুদ্বে হেরে যাই,কেউ সাহস জাগায় না।
তুমি নেই--
হুমড়ি খেয়ে পরি, কেউ ধরে তুলে না।
তুমি নেই--
জীমন্মৃত শীতল চোখ, কেউ দেখেনা।
তুমি নেই--
বিনীদ্র রজনী পোহায়, ঘুম আসেনা।
তুমি নেই--
ক্লান্তি মাখা চোখের কোনে কেউ চুমোয় না।
তুমি নেই--
ভালবাসার বিষাক্ত নেশায় কেউ হাতটি ধরে না।
তুমি নেই--
চারপাশে নীরবতা,কেউ ডাকেনা।
তুমি নেই--
ভালবাসি ভালবাসি বলে কেউ খুঁজেনা।



_______ডার্ক এভিল

প্রণয়

শব্দের করাঘাতে আর ব্যর্থ আবেদনে
কবিতায় তোমায় নিঃশেষ করছি,
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিরতি সেনার মত
ভুল প্রণয় তোমার আমার!
এতটা পথ মরণাস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে শুনতে
আমি আজ ক্লান্ত, বালিকা!


চামেলী ফুলে সজ্জিত রেখেছি অঙ্গার হৃষ্ঠ-পুষ্ট বিষবক্ষ,
তবু তুমি বক্ষ ছেড়ে চামেলী
ফুলেই হাত ছুয়েছো!

চামেলী মনে আছে,কতবার এ
বক্ষে হাত রেখে আমায় ঋণী করেছো,
লাল পেড়ে শাড়ীর মায়ায় অঙ্কুরিত স্বপ্ন
আর চৈত্রের চিতায় জন্ম দিয়েছো
আজন্ম শরতের ভুল ফুল!
ঋণের বোঝায় বোঝায় আমি আজ বিভ্রান্ত্র!
আজ ঋণ শোধের সময় এসেছে;
যাবে যৌবন যুদ্ধে আমার সাথে?
বিষের তীরে বোশেখ বিনে
নীল বেদনার চুমু পেতে!

এর চেয়ে বরং তুমি ফিরে এসো, ফিরে এসো বিষবক্ষে
দুর্বিনীত প্রণয়ের পথে,
শুদ্ধ হয়ে দুজন ভালবেসে যাবো চিরকাল ধরে।

_____খালিদ আদিত্য

অজানা

মানিব্যাগের কোনায় লুকিয়ে রাখা ১০ টাকা
Cream-fills - এর সেই খোসা !
কিছু ব্যবহৃত টেলি-চার্জ কার্ড ,
কয়েকবার দেখা একই মুভির টিকিট।
আর হাত ধরবার দুর্বার চেষ্টা
একেই কি বলে ভালোবাসা !

যন্ত্রণা আমার হাসি তোমার,
ঘুম আমার স্বপ্ন তোমার ।
এ যদি ভালোবাসা হয়
তবে সত্যিই কি ভালো থাকা যায় ?
থাক না আমার আকাশ নিকষ কালো
থাকো আধরা সেই বরং ভালো ।
স্মৃতি হাতড়ে একটাই ঘর পাই
চারটে জানালার পাট লম্বা বারান্দা
বুক শেল্ফ ভরা বই শুধু তুমি নাই
ভাঙ্গা চুড়ি, টিপের পাতা , চুলের কাঁটা
কাগজের বক্সটাতে এখনও আছে তোলা ।
একেই কি বলে ভালোবাসা
সত্যিই আমার এখনও অজানা !!
তোমার চলে যাওয়া
আমার চেয়ে থাকা
বুকের বা-পাশটায় চিনচিনে ব্যথা
একেই কি বলে ভালোবাসা
সত্যিই আমার অজানা !!

______আঁকন হক

দীর্ঘশ্বাস

আশায় ছিলাম গভীর রাতে তোমায় ছুয়ে প্রেম পরশে গা ভাসাব,
গভীর রাতে স্বর্গালোকের রাণীর মুকুট তোমায় দেবো!
এখন নাহয় একলা ঘরে মনের কোনে
রানীর সাজে তোমায় ভেবে জীবনতরীর রাত কাটাবো!


রেখেছিলাম খুব যতনে তোমার ধরা বায়নাগুলো,
নূপুর জোড়া লাল শাড়ি আর আলতা জমে আলমারিখান বোঝাই ছিল!
কপাল খরার ওসব বুঝি দুঃখেই গেল!
থাকনা ওসব! এবার না হয় নতুন করে বায়নাগুলো আবার ধরো!

ভেবেছিলাম তোমায় এবার ভুলেই যাবো,
ভুলের রাণীর ছল চাতুরী ভুলেই রবো
বুকের খাঁচায় বিষ ঢুকিয়ে নেশার বানের ধোয়া হবো!
সব না হোক,খামখেয়ালী তোমায় ছেড়ে তোমার পোড়া দগ্ধ হৃদয় রয়েই গেল!

চেয়েছিলাম তোমার আশায় বেড়ে ওঠা ভুলগুলো সব শুধরে নেব,
নীল যাতনে নির্বাসনে তোমায় বিহীন অনন্তকাল পারি দেবো!
আর হলোনা,কষ্টে কষ্টে হতচ্ছাড়া ভুলগুলো সব রয়েই গেলো!
থাক না ওসব,যদি পারো ভুলেই
ভুলের জীবনটা নাহয় সঙ্গে রেখো!

___________খালিদ আদিত্য

ভুল

ভুল দিয়া তুমি আমারে বন্ধু ভুলাইওনা আর ,
একটা ভুলে নিষ্প্রাণ জীবন হইয়াছে অকুল পাথার ;
ভুলের খেলা খোয়াব এবার করিয়াছি পণ ,
 ভুল করিয়া আর করিতে চাহিনা নষ্ট এ জীবন ।
আপনারে রিক্ত করি অপরকে পূর্ণ করিব না কভু ,
তোমারে পূর্ণ করিয়াই আজ আমার প্রদিপ নিভু নিভু ;
ভুল করিয়া আর কভু করিব না সুন্দরের বিষপান ,
সুন্দর তাহার বাহিরে কেবল হ্নদয়খানা বড়ই পাষাণ !
ক্ষণিকের তরে হইবেনা আর মোদের চোখাচোখি ,
চিরতরে তাই হয়তো তোমারে হারাইলাম সখি !
 ভুল করিয়া তুমি হ্নদয় কাননে ফুটাইয়াছিলে ফুল ?
কৌতুক লীলায় খিলিয়াছিলে , ছিল সব ভুল ?
নিষ্প্রাণ পাষাণ দেবিরে করিয়াছিলে অভিমানি ,
 বুকের চাদরে জরাইয়া টানিয়া ধরিয়াছিলে তাহার আঁচল খানি ;
নিভিয়া গিয়াছে আজি তোমার হাতের দ্বীপশিখা ,
সান্ধ্য-বনচ্ছায়ে আঁধার এ জীবন , মিছে এ হস্তরেখা ;
 নিশিথে জড়াইয়াছিলে একদিন মোরে ভুল করে ,
রাখিতে পার নাই মান অভিমানে তাই হারাইলাম চিরতরে . . . . . .।

_______ছায়া পথ

নারীর মৌন হাহাকার

আমি নারী, আমি মানুষ ন্‌ই আমি নারী
কপালে তুলেদিয়েছে সিধুঁর পুরুষের অহমিকার রাজটিকা,
হাতে পরিয়েছে পবিত্র সাঁখা যেন অপরাধীর বেরী
বিবাহ নামক বন্দনে আবদ্ধ করে স্বপ্ন করেছে মরিচিকা।

আমার দেহ খাদ্যবস্তু সুযোগ পেলেই লুপে নিবে
তাই বোরকার আবরণে ঢাকতে হয় সারা শরীর,
কামনার লোভী দৃষ্টি নিয়ে হেটে চলে পুরুষ
যেন সব দোষ নারীর, তারা মহা মানব মহা বীর।
ধর্ষিত হয় নারী, ধর্ষক মাথা উচিয়ে ঘুরে বেড়ায়
রক্তাক্ত হয় নারী, নিন্দার ভাগ জোটে ও নারীর কপালে
অপরাধী পুরুষ সমাজের প্রেরনায় সাহস যোগায়।
এক বিন্দু সুখের আশায় ধর্মগ্রন্থ পানে ছুটে যায়
সেখানে ও দেখি পুরুষের জয়গান নারীকে বন্ধির নেশায়
পুরুষ সৃষ্টিকর্তা লিখেছে হাজার নিয়মের শোষন,
যদি আমি প্রতিবাদ করি, পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ধরবে
গলা চেপে, ধর্ম রক্ষকরা আমায় দিবে নির্বাসন।
এখনো আমি স্বপ্ন দেখি আসবে সোনালী সুদিন
শোষনের কারাগার ভেঙ্গে হবে জীবন রঙ্গিন,
আমি শুধু মানুষ হবো নয় ক্ষুদ্র নারী সত্বা
আমার অধিকার আমি পাবো কেউ হবে না আমার কর্তা।

______অয়ন চৌধুরী

প্রথম ভালোবাসা

যখন মানুষ ছিলাম না ,
একফোঁটা নাপাক রক্ত জাইগোট পাঁকিয়ে যখন
পরিণত হয়েছিল একটি ভ্রুণ কণায় ,
আর সেই ভ্রুণে প্রাণের সঞ্চার করেছিল স্বয়ং বিধাতা ,
মানুষের তো কোন অবয়বই ছিলনা তখন ,
হাত ছিলনা পা ছিলনা গা - গতর কোন কিছুই না ,
সেই তখন থেকেই তোমায় ভালোবাসি মা ।
তোমার শাসন তোমার আদর তোমার দিক নির্দশনা ছাড়া
কোনকালেই এ আমি আজকের এ আমি হয়ে উঠতে পারতাম না ।
শুনেছি তোমাদের মতো করে নাকি আমরা তোমাদের ভালোবাসতে পারিনা .
তারপর ও মনে হয় তোমায় অনেক ভালোবাসি মা .
তো এতটুকুন কিছুতে এ দু'চোখ অশ্রুর বন্যা বইয়ে দেয় ।

লিখা: ছায়া পথ

থেমে থাকা পথ

আমার সময়ে থমকে ছিল পথ..
পথের পাশেই ছোট্ট একটা নদী,
একটা বাধানো ঘাট
বাধা ডিঙি নোউকা
নদীর বুকে জেগে ওঠা চর
দু'একটা ঘর
একটা উঠোনে মাচায় লতানো লাউ
ঝড়ো বাতাসে দুলছে
খোলা জানালার পাশেই-মেঠো পথ
পথের ভীড়ে কাজলটানা চোখ
প্রতীক্ষায়-আলো পরে আসা গোধুলি বিকেল
নুপুর পায়ে সন্ধে নামা-কিশোরি রাত
ফিরে আসা ছেলেবেলা
শুকনো মনের ভেতরে থাকা তল
এক টুকরো মেঘের আড়ালে চাদ
ছায়া মাখা জোস্নায় পথ
পথের পাশেই নদী
অবিরত বয়ে চলা কাদামাটি জল
আমার সময়ে থমকে ছিল পথ
পথের মাঝে একলা একটা মন...
সেখানে সপ্নগুলো নীরব সারাক্ষন..


------>পলাতক হৃদয় 

"""শোকার্ত প্রহর"""

সেই ১৯৫২ আর আজ ২০১৪ । কতগুলো দিন ! দ্বীপ তুমি চলে গেলে আর ফিরলেনা ! আজো তোমার ফেরার প্রহর গুনি . . . আজ আমি ৭২ বছরের প্রবীণ । আমার মনে পরে দ্বীপ , যেদিন প্রথম এসেছিলাম তোমার ঘর আলো করে , সিঁথিতে মোটা করে সিঁদূর দিয়ে , কপোলে লাল টকটকে বড় টিপ , দ'হাতে শঙ্খবালা আর লাল বেনারসি দিয়ে তুমিই আমায় সাজিয়ে এনেছিলে । আমি ছিলাম দশ বছরের বালিকা , বুঝতাম না ভালোবাসা কি ? দেহে দেহে , মনে মনে ভালোবাসা কিকরে গড়ায় , বুঝতাম না কিভাবে স্বামীর আদরে সাড়া দিতে হয় , তুমি যখন আমায় তোমার বুকে জড়াতে আমি তখন কেবল চুপটি করে নির্বোধ কপোতের মতো চুপ করে থাকতাম তোমার লোমশ বুকের গহীন অরণ্যে . . . . . আজ এতগুলো দিন পরে এখন ও তোমার ফেরার প্রহর গুনি । জানতো দ্বীপ , আমি আর সেই নীলাঞ্জনা নেই । নেই সেই কেশবিন্যাস , অধর যুগল , টোল পরা গাল ,গোলাপী ঠোঁট , গোল গোল ফর্সা হাত আর নূপুর পরা পা । তোমার অবর্তমানে আজ সব ম্রান হয়ে গেছে , ফিকে হয়ে গেছে । কেশবিন্যাস কালো থেকে হয়েছে সাদা , চোখগুলো তার সৌন্দর্য্য হারিয়ে হয়েছে নিঃপ্রাণ । যে চোখে প্রতিনিয়ত তোমার জন্যে জল ঝরে , যে চোখ প্রতিনিয়ত পথপানে চেয়ে তোমার ফেরার অপেক্ষা করে সে চোখের দৃষ্টি তো ক্ষীণ হবেই , ঝাপসা হবেই । জানতো দ্বীপ , আজকাল গায়ের চামড়া আর আগের মতো টনটনে নেই , ঝুলে গেছে । আজকাল একা একা হাঁটতেও পারিনা , লাঠিতে ভর দিতে হয় । তারপর ও আজো সিঁথিতে রাঙিয়ে সিঁদূর দেই , হাতে পরি শঙ্খবালা আর অপেক্ষয় থাকি তুমি আসবে বলে . . . . . . ।

মা ও প্রেমিকা

প্রিয়তমা, তুমি আমাকে ভালবাস না,
তাতে কিছু পরোয়া করি না,
আমাকে ভালবাসার মত এখনও একজন আছে,
সে আমার গর্ভধারীনি মা।

তোমাকে ভালবেসেছি এই কিছু দিন হলো,
নিষিদ্ধ জলের তাড়নায় আর যৌবনের ডাকে,
মা কে ভালবেসেছি সৃষ্টি লগ্ন থেকে,
তাঁর ভালবাসা আর মায়ার টানে।
পার্কে ঘোরা আর শপিং করা যত কমতে থাকে,
তোমার অভিমানটা ততই বাড়তে থাকে,
মায়ের অভিমানটা একটু অন্য ধাঁচের,
খোকা আমার না খেয়ে শুকে যাচ্ছে' এই ভেবে।
অসুস্থ হয়ে যখন আমি পড়ে থাকি,
একটু দেখা করে দায় সেরে বলো 'এখন আমি আসি',
মা বসে শিয়রে চোখের জল ফেলে,
কেটে দেয় পরম সেবায় দিবা-নিশি।
মায়ের প্রতি এ ভালবাসা শুনে,
যদি অভিমান করে থাকো মনে মনে,
যদি ছিন্ন করো আমাদের বন্ধন,
ক্ষতি নেই, কখনও করব না একটু ক্রোন্দন।

__কাইয়ুম আকন্দ__

এখনো ভালবাসাই হয়নি

অভিমানী, চলে যেওনা...!
সবে তো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি।
শুভ্র বেলী ফুলের সুভাস মাখিয়ে,
এখনো বলা হয়নি ভালবাসি!
এখনি চলে যেওনা!
শব্দের ছন্দে তোমায় শিশিরে সিক্ত করা হয়নি।
উচ্ছল প্রকৃতির চোখে চোখ রেখে,
এখনো তোমার মোহে সন্মুহিত হইনি।
নিশ্চুপ গভীর মায়ায় জড়িয়ে ধরা হয়নি!
গুধুলী লগ্নে তোমার মায়াবী মুখে সপর্শ করা হয়নি!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবে তো এলে!
এখনো তোমায় ভালই বাসা হয়নি!
তোমার চোখে সাত রং মাখিয়ে,
পৃথিবীর বুকে আল্পনা করা হয়নি।
তোমার হাসিতে মুখোরিত পুষ্প কাঁননে,
বিহঙের কলতান শুনা হয়নি!
একটা রাত তোমার আবেশে শিহরিত হইনি!
ভোরের মিস্টি আলোয় চোখ মেলে,
তোমার উস্কোখুস্কো চুলে বিলি কাটা হয়নি!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবে তো এলে!
তোমায় এখনো ভালবাসাই হয়নি!
তোমায় ছাড়া যার ভোর হয়,
সে তো বড় হতভাগিনী!!
তোমার আবেশে যার চোখের পাতা এক না হয়,
সে তো কলংকিনী!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবে তো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি!
সবে তো দেখা হলো..!
তোমার ভাগ্যে আমার জীবন শুরু হলো।।
এখনো ভালবেসে ভালবেসে ক্লান্ত হইনি।
সবে তো তোমার ইচ্ছেয় আমার পথ চলা শুরু হলো,
এখনি থেমে যেতে বলোনা!
সবে তো তোমায় ভালবাসলাম।
এখনো ছন্দের সুঁতোয় শব্দ দিয়ে কবিতা লিখা হয়নি।
অভিমানী.....
চলে যেওনা...!
সবে তো এলে,
এখনো ভালবাসাই হয়নি।


_____ডার্ক এভিল

*****ধিক্কার*****

বর্ণিল এই ধরনীর মাঝে
সবাই যখন সুখের উচ্ছ্বাসে,
তখন কিছু মানুষরূপী জানোয়ার
মেতেছে কি রক্তচোসা উল্লাসে।

ছোট্ট ছোট্ট শিশুগুলো
ফোটেনি যাদের মুখের ভাষা,
তারা কি করেছে তোদের?
পাষাণ রক্তচোষা ।
নিষ্পাপ যে শিশুটি দেখেনি এখনও
এই বর্ণিল পৃথিবীর মুখ,
তাকেও তোরা ছাড়িসনিকো,
তোরা কি রক্তে মাংসের মানুষ?
বিশ্বজুড়ে মানব অধিকার
গড়তে চাচ্ছে যারা,
পরেনি কি তাদের চোখে
এই নির্মম কার্যখানা।
ধিক্কার জানাই তাদের দিকে
যারা করেছে এই কাজ,
তার চেয়েও বেশি ধিক্কার
যারা দিচ্ছে এই কাজের পূর্ণ আশ্বাস।

__প্রান্তিক চৌধুরী__

চিনতে পেরেছিস আমায়?

এইযে মনুষ্যকূল ,
আমার বসবাস তোদের দেহে, মস্তিস্কে।
তোদের শিরা উপশিরায় আমার যাতায়াত।
আমি তোদের প্রসুতি, সুর, মেদিনী, নৃপতি,
আমি সম্পর্কের মাঝে তুলি সুউচ্চ প্রাচীর।
কব্জ্বা করি তোদের চালিকা শক্তি।
আমিই করি তোদের অবাধ্য সন্তান কিংবা,
বর্বর পাষণ্ড মনুষ্য রুপী শয়তান।
কামনা, কু-প্রবৃত্তি, নৃশংসটায় ,
আমিই করি তোদের অপরাজেয় !
আমি সর্বত্র বিরাজমান।
জ্বলে, স্থলে, উপকুলে,
রাস্তার মোড়ে কিংবা চা এর টং এর গোপন কৌটায় ।
হাত বাড়ালেই আমায় পাবি।
আমি ধনী, গরীব, মধ্যবিত্তের ক্লান্তি বেলায়,
প্রহরীর মত সদা সর্বদা দন্ডায়মান।
আমি বসুধার রীতিনীতি ,সংস্কার এর উর্ধে।
ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে আমি সবার ভিতর।
আমিই তোর প্রেমিকা ,আমিই তোর জায়া,
প্রসুতি, সুর কিংবা দ্যুলোক ।
আমি তোর একলা রাতের নিঃসঙ্গতার সঙ্গী ।
ক্লান্ত সময়ের উপকরন।
তোর ক্ষতস্থানে আমিই দিতে পারি মলম।
তোর বিধ্বস্ত রাতের অলৌকিক শক্তি,
নৈশব্দতায় তোর মস্তিস্কে শব্দমালার সম্ভার ।
তোর চরনে আমিই দিতে পারি পৃথিবীর বিস্ময় !
আমি তোর শয়নে, স্বপনে,
তোর তনুতে,অনুতে বাজাই সুর ।
তোর বিনাশ ,আমার আমার উল্লাস।
তবুও আমি অসীম ক্ষমতার অধিকারী।
তোর অস্তিত্ব আমার ক্ষমতা।
আমি তোর প্রভু,
তুই স্বীকার কর, বা নাই কর,
তুই আমার স্থায়ী দাস।
এখন তুই বল,
চিনতে পেরেছিস আমায়?

_________ডার্ক এভিল।

খুঁজবে তুমি খুঁজবে,

খুঁজবে তুমি খুঁজবে,
আসমানে কি জমিনে,
স্যাতস্যাতে ভেজা মৃত্তিকায়, নতুবা
পুরনো হয়ে যাওয়া সৃতির পুড়া গন্দ্বে,
সাত টা পৃথিবীর গোপন মিলনে
কিংবা সজারু,দেবদারু,অশ্বথের ছায়ায়,
খুঁজবে তুমি খুঁজবে!!!
খুঁজবে আমায় একলা বিকেলে,
গুধুলী বেলায় নদীর পাড়ে ,
বিশাল সাগরের শান্ত তীরে,
যেখানে নিঃসঙ্গতা আছড়ে পড়ে !
খুঁজবে তুমি খুঁজবে !
খুঁজবে আমায় বাসের ভীরে ,
মানুষের ভীরে যেখানে ঘাম ঝরে,
পার্কের কোন নিরালা ছায়ায়,
চাতক পাখিরা যেখানে খেলা করে !
খুঁজবে তুমি খুঁজবে !
খুঁজবে আমায় ভরা জোছনায়,
একলা চাদরে রাতের বিছানায়,
এপাশ ওপাশ রাতভর যদি
ঘুম না আসে জল জোছনায় !!
খুঁজবে আমায় অনুতাপে,
ভীষন খরায় যদি অস্রু ঝরে ,
দুষ্টু লোকের নষ্টামিতে
পীড়াহীন পৃথিবী আড়াল করে !
খুঁজবে আমায় জ্বলে স্থলে,
আসমানে বা ডাঙ্গায় ঘুরে,
নিশুতি রাতে ঘুম ভেঙে,
ছোঁয়া না পাও যদি পাশ ফিরে !
খুঁজবে আমায় খুঁজবে ।।
খুঁজবে আমায় ভোরের আলোয়,
সন্ধা হতে রাত অবধি ,
ঝিঝি পোকার জ্বালাধরা সুরে,
হৃদয় কক্ষের বন্দ্ব দুয়ারে !
খুঁজবে তুমি খুঁজবে !
খুঁজবে আমায় বাউলের গানে,
উচ্ছল কিশোরীর বাড়ন্ত প্রানে,
সবুজে সবুজে ছেয়ে যাওয়া মাঠে,
অদৃশ্য এক মায়ার টানে।
খুঁজবে আমায় খুঁজবে !


_______ডার্ক এভিল

"চারু যন্ত্রনার ঘর"

আমায় ছেড়ে সুখের ঘর হবে তোমার
সে ভেবে আস্ফালন হবে নিকৃষ্ট ভালবাসার,
আমিহীন তুমি যন্ত্রনাহীন ভালবাসায় রবে প্রেমহীন হাহাকার!
আয় সখী আরেকবার যন্ত্রনাময় সুখের সংসার গড়ি
আমি হব যন্ত্রনা,তুমি হবে সুখের বর!

আঙুলে আঙুল ছুয়ার খেলা কাটাব তিমির রাত
ওঠরে ওঠর ছোয়ায়ে ধরব সুরে বেসুরে জমে থাকা অভিমানে গান!
অধরে অধর ছুয়ে কান
পেতে শুনব বক্ষে জমা লেলিহান কষ্টের চিত্‍কার!
তাতে যদি আমার বলি হতে হয়
আমি অযুত লক্ষবার তোমায় ছুয়ে তোমার সুখের যন্ত্রনা হতে চাই!
আমি জানি_
এই ভুলোক ছাড়িয়া যদি আমায় যেতে হয়
তুমিহীন আমি ঈশ্বর নরকবাস চড়ায়,
আমার তরে নরক হবে তোমার আমার সংসার ঘর!
আমি হব যন্ত্রনা,তুমি হবে সুখের বর!
আমি জানি,যন্ত্রনাহীন ভালবাসার তীব্র চিত্‍কার!
সখি, ভুলে আপন পর_
সেই যন্ত্রনা নিয়ে গড়বে সুখের সংসার ?
আমি হব যন্ত্রনা,তুমি হবে সুখের বর!

______Åñtsý ßøý

মেয়ে !!তুমি জান-কি?

মেয়ে !!তুমি জান-কি?
পাগল আমি___ পাগল আমি....
পাগল আমি___তোমার প্রেমে।
তোমায় ছেড়ে যেতে পারিনা দূরে..!
........................................
ও মেয়ে...........
সারা সময় জুরে..
আমার ভূবনে সাজাই শুধু তোমারে..!
তোমায় ছেড়ে যেতে পারিনা দূরে..!
...............................................
ভাবছ কি তুমি?
তোমার খোলা উড়ন্ত চুলে.......
আমার স্বপ্নেরা উড়ে...!!
তোমায় ছেড়ে পালাতে পারিনা দূরে...!
........................................................
মেয়ে ..............
যত প্রেম আছে আমার কাছে.
সব ছুটেছে তোমার-ই পিছে ।
তাইতো এত্ত ভালোবাসি তোমারে......
তোমায় ছেড়ে পালাতে পারিনা দূরে...!


_____ফরহাদ আহমেদ

"সময়ক্ষেপন"

তোমার ঘোর লাগা নয়নে ধূসর
স্বপ্নগুলো এফোর ওফোর করে সাজাই!
শুস্ক অধর তোমার ললাট ছুয়ে
অন্তর্বাস কিছু চাপা কান্নায় ধ্বসে পরা স্বপ্নভূমির,
অন্তিমগর্ভেও স্বপ্নের বেদনার জল ভূমিষ্টের জ্বালায়!
লাজুকলতা_
বাকি ক্ষানিক অমরত্বের গুন ধরে হাহাকার,
অন্তঃশুন্য তোমার ফিরে আসার চিতকার!

চিরকঙ্কাল সার হয়ে পরে থাক
আমার রঙ বেরঙের ওসব বিলাসহীন স্বপ্ন!
শুধু চির ধরা স্বপ্ন দুবাহুর স্পর্শে
মাতাল করে দাও অমরত্বের টানে,
শুধু ফের প্রস্থানের সুরে
ভেজা অধর ললাট ছুয়ে উজ্জীবিত হোক নির্বাসনে হাজার মাঝে একটি স্বপ্নের!

_______Åñtsý ßøý

স্বপ্ন

স্বপ্ন যেমন বিভিন্ন রং ছড়ায় ঠিক তেমনি স্বপ্ন ভঙ্গের ও আলাদা রং আছে , তবে স্বপ্নে “বে-নি-আ-স-হ-ক-লা” এর তীব্র বিচ্ছুরণ থাকলেও স্বপ্ন ভঙ্গের রং একটা। তবে নির্দিষ্ট করে কোন রং নেই, একেক জনের কাছে একেকটা রং প্রাধান্য পায়। ওই এক রঙ্গা সময়গুলো পীড়াদায়ক।

সেলুলারের ওই পাশ থেকে যখন এক নিঃশ্বাসের এ কথাগুলো ভেসে আসে “ আটকাও এইটা, আমাকে আটকাও, আমি চাইনা এইটা হোক, তুমি এটা হতে দিও না, কিছুই কি করার নাই তোমার!!? একটা কিছু করো, নিয়ে যাও এসে আমাকে ” – তখন কিছুই বলার থাকেনা। করারও থাকেনা কিছুই।
শুধু একটা রং-ই চোখের সামনে ভাসতে থাকে “কালো”; আমার স্বপ্ন ভঙ্গের রং কালো।


সেলুলারের ইথারে প্রায়ই এই এক নিঃশ্বাসের কথাগুলো ভেসে আসে আমি আলোর মাঝেও কালোতে হারাই। এমনটাই কি হওয়ার কথা ছিলনা ? নিজেকে বোঝাই সেলুলারের অপর প্রান্তকে বোঝানোর বৃথা চেষ্টায় মনোনিবেশ করি। নিজেকে কিছুটা বোঝাতে পারলেও ওই প্রান্ত একদম অবুঝ। রাগারাগি করি, বাস্তবতাকে দেখাই কাজ হয়না খুব একটা।এক একটি চাকরির দরখাস্তের সাথে সাথে চোখ ভরে স্বপ্ন দেখা শুরু করি লাল, সাদা, সবুজ, গোলাপি ।আশায় বুক বাঁধি “চির আধরা” ধরা দেবে কি?

_______আঁকন

মৃন্ময়...!!

ঘুমুচ্ছো?
নাকি সেই আগের মতই রাত জেগে উৎসুক নয়নে,তারায় তারায় আকাশের নিশীলীলা দেখায় ব্যাস্ত? কে জানে! হয়তোবা কোন ষোড়শীর ঘামে ভেঁজা গা এর সুভাসে দিশেহারা নাবিকের মতই সাঁতরে তীরে উঠার চেস্টায় বার বার ডূবে যাচ্ছো! হয়তোবা!!
মৃন্ময়, তোমায় ভেবে ভেবে বার বার কলংকীত হতে এত ভালো লাগে কেন!!! তোমায় পাওয়া হবেনা বলে? নাকি আমি হাড়িয়ে যাচ্ছি বলে!
হাড়াতে চাইনি। থেকে যেতে চেয়েছি কতবার! একবার হাতটা ধরে আহবান করেই দেখতে! যমদুতের পায়ে পড়ে কিছু মুহুর্ত চেয়ে নিতাম তোমার জন্যে।না হয় বিদ্রোহ ঘোষনা করে দিতাম ভাগ্যের বিপক্ষে! একবার শুধু যদি থেকে যেতে বলতে!
এখানে আমার ভালো লাগেনা মৃন্ময়! দম বন্দ্ব হয়ে আসে।চারিদিকে শুভ্রতায় ঢাকা।মৃত বাড়ীর আঁষটে গন্দ্বে গা গুলিয়ে উঠে। নীরবতা যেন প্রতিটা মুহুর্তকে জাপটে আছে।সবায় যেন কি একটা ভয়ংকর ঘন্টি বাজার অপেক্ষায়! আমার ভয় করে! মাঝে মাঝে জ্বানালার পাশটায় গিয়ে দাড়াই। যতদুর দৃস্টি যায়, চেয়ে থাকি। ইচ্ছে হয় লাফিয়ে পরি জ্বানালা থেকে নীচে। যেতেই যখন হবে, তবে অপেক্ষা কেন? দীর্ঘ অপেক্ষায় কেন শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাওয়া?
হয়না।অনেক অসমাপ্ত ইচ্ছের মতোই, লাফিয়ে পরার ইচ্ছেটাও অপুর্ন থেকে যায়!
অপুর্নতার আঘাতে, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সরে আসি। সেই দীর্ঘশ্বাসে এক পৃথিবী যেন থমকে দাড়ায়! একটা স্বচ্ছ আকাশ বেদনার নীলা রংগে ছেঁয়ে যায়। পাখিদের কলতান থেমে যায়।অবেলায় ঝুপ করে সন্দ্ব্যা নামে পাশের ঝাউ বনে। বিশাক্ত বিষাদ্বে তমিস্রা ছড়ায় দীগন্ত জুড়ে! রবি বাবু এক পৃথিবী ঠেলে দেয় যামিনীর কোলে! আহ! আমার দীর্ঘশ্বাসে আঁধার ঘনায় বসুমতির চোখের কোলে।
কে দেখে! কে বুঝে! দেখেনা, কেউ দেখেনা!
মৃন্ময়...!! ভালো থেক। যদি নাইবা হয় কখনো দেখা আর, তবে জেনে নিও, এই অধরা, যেতে চায়নী। একটি বার হাত বাড়ালেই থেকে যেত আর কিছু দিন!!!!


_______ডার্ক এভিল।

আকাশ ও ভূমির ভালোবাসা

পৃথিবীর জম্মলগ্ন থেকেই বোধোহয়
আকাশ আর ভূমির ভালবাসা
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকার মধ্যেই
তাদের ভালভাসার বহিঃপ্রকাশ
সহবাসে তারা এখনো যায়নি
তবে হ্যা বোধোহয় অল্প একটু স্পর্শ
তাদের হয়েছে পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে
লোকচক্ষুর আড়ালেই তাদের এই স্পর্শ
কি বিশুদ্ধ প্রেম তাইনা???
এতো বছরের সম্পর্ক তবু অল্প স্পর্শততেই
তারা তুষ্ট
তারা তৃপ্ত
তবে দুষ্টামিরও একটু ছোঁয়া থাকে এই দেখাদেখিতে
ভূমি আকাশের উষ্ণ ভালবাসায় সিক্ত হয়ে
ক্ষণে ক্ষণে ফাটল ধরায় নিজের মাঝে
আর তার ভিতরের সৌন্দর্যকে
উপস্থাপন করে আকাশের তরে
এরই নাম হল খরা
তাদের এই ভালবাসা দেখে মেঘের খুবই ঈর্ষা হয়
তাই সে সৃষ্টি করে আকাশ ও ভূমির মাঝে পুরু দেয়াল
এতে কি স্থবির হয়ে যাবে তাদের ভালবাসা??
সংকুচিত হয়ে যাবে তাদের প্রণয়ের রেখা??
সমাপ্তি ঘটবে তাদের চাহনির??
না কক্ষনোই না......
তাদের প্রণয়ে বাধার আগমনে
রাগে ক্ষোভে আকাশ এতটা উষ্ণ হয়
তার ভালবাসার শক্তি এতটা তীব্র হয় যে
তার গায়ে লেপ্টে থাকা ঈর্ষান্বিত মেঘ
ভীত হয়ে অনবরত নিম্নগামি হতে থাকে
এরই নামই হল বৃষ্টি
আর এদিকে ভূমি পানিকণার সংস্পর্শে শিহরিত হয়
আর ভেবে নেই এগুলোই তার আকাশের অশ্রুকণা
ভাবে সে এতো ভালবাসে সে আমাকে
এত্ত????????? এত্ত?????????
প্রণয়ের সামান্য বিরতিতে সে আমাকে তার অশ্রু জোয়ারে ভাসিয়ে দিল
তাই ভুমি তার প্রিয় আকাশের অশ্রুকণা নিজের বুকে আগলে রাখতে চায়
তাই সে যতটুকু পারে ততটুকু চুষে নেই নিজের অভ্যন্তরে
জানি কারই বিশ্বাস হচ্ছেনা
তাহলে মাটি খুড়ে দেখতে পারো
অজস্র অশ্রুকণায় সে ভিজিয়ে রেখেছে নিজেকে
কেন জানো???????
আকাশ কে তো বুকে আগলে রাখতে পারছেনা
কিন্তু সেই অশ্রুকণাই তো আকাশেরই দেয়া
আর তার মধ্যেই নিহিত
তার প্রিয় আকাশের গন্ধ
তার প্রিয় আকাশের ছোঁয়া
তা পেয়েই সে তুষ্ট
সে আনন্দিত
এভাবেই চলে আসছে তাদের প্রণয়
জানিনা এই প্রণয়ের দীর্ঘতা কতদিনের
জানতেও চাইনা
কেননা ক্ষুদ্র চিন্তাশক্তি নিয়ে এই বিশাল ভালবাসাকে অধিক বিশ্লেষণের দরুণ
হয়তো নিজেও ভস্মিত হতে পারি তাদের ভালবাসার কাছে
তবে একটাই বাসনা
জেগে থাকুক তাদের ভালবাসা
জেগে থাকুক অজস্র যুগ.........


__________বিনইয়ামিন ইমতিয়াজ